ইউরিক অ্যাসিড (Uric Acid) আমাদের লিভারে তৈরি একটি বর্জ্য পদার্থ, যা প্রথমে কিডনি ও পরে প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। পুরুষদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের স্বাভাবিক মাত্রা ৩.৫ থেকে ৭ mg/dL হিসাবে বিবেচিত হয়, যেখানে মহিলাদের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ২.৫ থেকে ৬ mg/dL পর্যন্ত স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়। ইউরিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক পদ্ধতি ছাড়াই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে মানুষের স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করা উচিত। সময়মতো ঘুমোনো ও জেগে ওঠা এবং খাওয়া-দাওয়া করা উচিত। দেরি করে ঘুমোনো বা রাত জাগা ছাড়তে হবে। এক জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
ইউরিক অ্যাসিড রোগীদের ফলমূল ও শাকসবজি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। এছাড়াও, আমিষ এবং উচ্চ প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া কমাতে হবে। আমিষ জাতীয় খাবার খেলে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় এবং গাউটের সমস্যা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে নন-ভেজ ও জাঙ্ক ফুড থেকে দূরত্ব তৈরি করা উচিত।
ইউরিক অ্যাসিড কমাতে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম বা অন্যান্য শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। হাঁটাও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ডাক্তারদের মতে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে প্রতিদিন ২-৩ লিটার জল খেতে হবে। সবসময় হাইড্রেটেড রাখুন। এটি করলে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড বের হয়ে যায়।
সময়ে সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। এতে প্রাথমিক পর্যায়েই ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়বে এবং আপনি সহজেই তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। মনে রাখবেন যে আপনি যদি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাক্তারের ওষুধ খান তবে তা নিজে থেকে বন্ধ করবেন না।