বর্তমান সময়ে খারাপ লাইফস্টাইল এবং জেনেটিক কারণে চুল পড়ার সমস্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। সমস্যা শুধু চুল পড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তরুণরা অল্প বয়সেই টাকের শিকার হচ্ছে। টাক দূর করতে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টে মাথার অন্যান্য অংশ থেকে চুল নিয়ে এমন জায়গায় রোপণ করা হয়, যেখানে চুল গজাচ্ছে না। এটি একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি কিন্তু এতে ঝুঁকিও রয়েছে।
এদিকে ইরানে পরিচালিত নতুন এক গবেষণার সময় টাক দূর করার এক নতুন কৌশল বেরিয়ে এসেছে। এই গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে কারও শরীর থেকে ফ্যাটি টিস্যু অপসারণের মাধ্যমে চুল ফের গজাতে পারে। এই প্রযুক্তিটি বিশেষত অ্যালোপেসিয়া রোগে ভাল কাজ করে। যা সাধারণত চুলের ক্ষতি করে এবং এটি একটি অটোইমিউন অবস্থা হিসাবে বিবেচিত হয়।
এই গবেষণায় এই ধরনের টাক সমস্যায় আক্রান্ত চারজন পুরুষ ও পাঁচজন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গবেষণার সময়, তাদের উরু থেকে নেওয়া ২০ মিলি ফ্যাটি টিস্যু তিন মাসের ব্যবধানে মাথার খুলিতে তিনবার ইনজেকশন দেওয়া হয়। ছ মাস পরে তাদের চুলের ঘনত্বে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। কত সহজে চুল পড়ে তা দেখার জন্য একটি 'হেয়ার-পুল টেস্ট' করা হয়েছিল। তাতে চুল পড়াও কমে গেছে। ইরান ইউনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে এই গবেষণার লেখকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, এই চিকিত্সা মাথার ত্বকের মধ্যে ক্ষতিকারক প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যার ফলে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়।
চর্বিযুক্ত ইনজেকশন, যাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন 'অ্যাডিপোজ টিস্যু', যার মাধ্যমে চুল ফের গজাতে পারে। জার্নাল অফ কসমেটিক ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত গবেষণাটি চুলের প্রতিস্থাপন থেকে শুরু করে মাইক্রোনিডল ব্যবহার পর্যন্ত টাক পড়ার বিদ্যমান চিকিত্সার বর্ণনা দেয়। কিন্তু এসব চিকিৎসায় অনেক সমস্যা রয়েছে। অতএব, রোগীর আত্মবিশ্বাস, আকর্ষণীয়তা এবং ব্যক্তিত্ব এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে সর্বদা নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং পদ্ধতির প্রয়োজন রয়েছে। চর্বিযুক্ত টিস্যু এমন অণু তৈরি করে যা বিশেষজ্ঞরা বলে যে চুলের পুনর্গঠনে সাহায্য করতে পারে। এটি প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং চুলের ফলিকলকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।