Advertisement

Night leg pain: রাতে ঘুমোতে গেলেই পায়ে তীব্র ব্যথা? এই ৯ কারণে হতে পারে গুরুতর অসুখ

রাতে শুয়ে পড়লেই পায়ে ব্যথা? এমনকি ঘুম ভেঙে যায় বা কাতরাতে হয় ব্যথার কারণে? আপনি একা নন। এই সমস্যা এখন ক্রমেই সাধারণ হয়ে উঠছে। অনেকেই এটিকে ক্লান্তির ফল ভেবে উপেক্ষা করেন, কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, রাতে পায়ে ব্যথা প্রায়ই শরীরের ভেতরে লুকিয়ে থাকা গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।

পায়ে ব্যথার কারণ।-এআই ছবিপায়ে ব্যথার কারণ।-এআই ছবি
Aajtak Bangla
  • 29 Oct 2025,
  • अपडेटेड 12:00 PM IST
  • রাতে শুয়ে পড়লেই পায়ে ব্যথা?
  • এমনকি ঘুম ভেঙে যায় বা কাতরাতে হয় ব্যথার কারণে?

রাতে শুয়ে পড়লেই পায়ে ব্যথা? এমনকি ঘুম ভেঙে যায় বা কাতরাতে হয় ব্যথার কারণে? আপনি একা নন। এই সমস্যা এখন ক্রমেই সাধারণ হয়ে উঠছে। অনেকেই এটিকে ক্লান্তির ফল ভেবে উপেক্ষা করেন, কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, রাতে পায়ে ব্যথা প্রায়ই শরীরের ভেতরে লুকিয়ে থাকা গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।

সারা দিন পা শরীরের ওজন বহন করে, তাই কিছুটা ক্লান্তি স্বাভাবিক। কিন্তু শুয়ে পড়ার পরেও যদি তীব্র ব্যথা, ঝিনঝিনি বা খিঁচুনি হয়, তবে এটি কোনও শারীরিক অসামঞ্জস্য বা রোগের লক্ষণ হতে পারে। নিচে জানুন এমন ৯টি কারণ, যেগুলির ফলে রাতে পায়ে ব্যথা হতে পারে -

১. পেশীতে টান (Muscle Cramp):
ঘুমানোর সময় হঠাৎ পায়ে টান বা খিঁচুনি লাগা পেশী ক্লান্তি বা জলশূন্যতার ফল। ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়ামের ঘাটতিও এর কারণ হতে পারে। সমাধান: পর্যাপ্ত জল পান করুন, সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং ঘুমানোর আগে হালকা স্ট্রেচিং করুন।

২. পেশী বা টেন্ডনে প্রদাহ (Inflammation):
অতিরিক্ত কাজ বা আঘাতের ফলে পেশী ফুলে যেতে পারে, যা রাতে ব্যথা বাড়ায়। গরম বা ঠান্ডা সেঁক আরাম দেয়। তীব্র ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৩. হাড় ভাঙা বা ফ্র্যাকচার (Fracture):
যদি পড়ে যাওয়ার পর বা আঘাতের পরে বিশ্রামেও ব্যথা না কমে, তবে হাড়ে ফাটল থাকতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখানো জরুরি।

৪. রক্ত জমাট বাঁধা (Deep Vein Thrombosis): 
দীর্ঘ সময় বসে বা শুয়ে থাকলে পায়ে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। এতে ফোলাভাব, লালভাব ও উষ্ণতা দেখা দেয়। এটি প্রাণঘাতীও হতে পারে, তাই অবিলম্বে চিকিৎসা দরকার।

৫. ভ্যারিকোজ ভেইন (Varicose Veins):
ফুলে যাওয়া, নীলচে শিরা এবং ভারী ভাব ভ্যারিকোজ ভেইনের লক্ষণ। রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে এই সমস্যা হয়। সমাধান: নিয়মিত হাঁটাচলা, পা উঁচু করে রাখা এবং ডাক্তারের পরামর্শে কম্প্রেশন স্টকিংস পরা।

Advertisement

৬. ধমনীর রোগ বা রক্তপ্রবাহের ঘাটতি (Peripheral Artery Disease):
রক্ত চলাচল কমে গেলে বাছুরের পেশীতে ব্যথা হয়। ধূমপায়ী, ডায়াবেটিস রোগী বা অতিরিক্ত ওজনধারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

৭. স্নায়ুজনিত ব্যথা (Neuropathy):
স্নায়ু সংকোচন বা নিউরোপ্যাথির কারণে রাতে ঝিনঝিন বা জ্বালাপোড়া অনুভূতি হতে পারে। উষ্ণ সেঁক আর স্ট্রেচিং উপকারী হতে পারে। তবে সমস্যা স্থায়ী হলে নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নিন।

৮. গর্ভাবস্থা:
গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি ও রক্ত সঞ্চালনের পরিবর্তনের কারণে পায়ে ব্যথা হতে পারে। পা উঁচু করে রাখা ও আরামদায়ক জুতা ব্যবহার উপকারী।

৯. ভুল ঘুমানোর ভঙ্গি:
অস্বস্তিকর ভঙ্গিতে ঘুমালে পেশীতে চাপ পড়ে এবং ব্যথা হয়। হাঁটুর নিচে বালিশ রেখে ঘুমালে পেশী শিথিল হয় ও ব্যথা কমে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement