Oily Skin Care Tips: ফেসিয়াল করে ত্বককে উজ্জ্বল করা যায়। তবে এর জন্য ত্বকের ধরন বুঝে যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে সঠিক যত্ন নেওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ে। তৈলাক্ত ত্বকে না বুঝেশুনে বাজার চলতি ফেস প্যাক, ফেস ওয়াশ ইত্যাদি প্রয়োগ করা হলে ওগুলিতে থাকা রাসায়নিকের প্রভাবে ব্রণ, ফুসকুড়ি বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আপনারও কি তৈলাক্ত ত্বক? আপনি কি ফেসিয়াল করে উৎসবের মরসুমে উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান। এর জন্য আপনাকে পার্লারে গিয়ে প্রচুর টাকা খরচ করতে হবে না। কিছু ভেসজ, ঘরোয়া উপাদানের মাধ্যমে ঘরেই তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী ফেস প্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। ঘরোয়া উপাদানে তৈরি ফেস প্যাকে ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কাও প্রায় নেই বললেই চলে।
ক্লিনজিং:
শুধু তৈলাক্ত ত্বক নয়, প্রতিটি ত্বককে সময়ে সময়ে পরিষ্কার করতে হবে। আপনি যদি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসিয়াল করতে চান, তবে প্রথমে আপনাকে ঘরে থাকা জিনিসগুলি দিয়ে পরিষ্কারের ধাপ অনুসরণ করতে হবে। আপনি চাইলে দই ও ওটসের পেস্ট বানিয়ে ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই দুটি উপাদানেই উপস্থিত উপাদান ত্বকের ভেতর থেকে মেরামত করতে সাহায্য করবে।
স্টিমিং:
এটি ফেসিয়ালের একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ, যাতে ছিদ্রগুলি আরও ভালভাবে পরিষ্কার করা যায়। তৈলাক্ত ত্বক হলে নিম পাতা নিয়ে জলেতে ফুটিয়ে নিন। এবার এই পানি দিয়ে মুখ স্টিম করুন। এই পদ্ধতিটি আপনার ছিদ্র পরিষ্কার করবে, কারণ এটি মৃত কোষগুলিকে সরিয়ে দেবে। যাইহোক, সপ্তাহে একবার বাষ্প নেওয়া উচিত।
ফেস মাস্ক:
যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের জন্য মুলতানি মাটির ফেস মাস্ক সবচেয়ে ভালো। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, তৈলাক্ত ত্বকে সবসময় শুধু মাটির মাস্ক লাগানো উচিত। একটি পাত্রে মুলতানি মাটি নিতে হবে এবং তাতে দুই চামচ টমেটো পিউরি দিতে হবে। ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান। সাধারণ জল ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন।
টোনিং:
টোনার ত্বকের ময়লা দূর করতে এবং ময়শ্চারাইজ করার কাজ করে। ত্বকে টোনার ব্যবহার করার সময় মনে রাখতে হবে যে এটি অ্যালকোহল মুক্ত। টোনার হিসেবে গোলাপ জলও ব্যবহার করা যেতে পারে।
ময়শ্চারাইজিং:
তৈলাক্ত ত্বকে ঘরে তৈরি ফেসিয়াল করার পর তাতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে দীর্ঘক্ষণ কোমল রাখতে সাহায্য করবে।