Advertisement

Sikkim Tour Through Silk Route: উত্তরবঙ্গের 'চেরাপুঞ্জি' গেছেন? বৃষ্টি-মেঘ-রোদের খেলা চলে এখানে দিনভর, খুব কম খরচ

সিল্ক রুটের পথে সিকিমের 'দলাপচাঁদ', চলুন ওই চিরশান্তির গ্রামে। শিলিগুড়ি কিংবা সিকিমের রংপো থেকে গাড়ি ভাড়া করে চলে আসুন পূর্ব সিকিমের পথে। তবে এখানকার আকর্ষণ এখানকার আবহাওয়া যখন তখন বৃষ্টি নামে এখানে। ফলে এলে ছাতা-বর্ষাতি সঙ্গে আনতে হবে।

সিল্ক রুটের পথে সিকিমের 'দলাপচাঁদ', চিরশান্তির ওই গ্রামে কীভাবে যাবেন?
সংগ্রাম সিংহরায়
  • শিলিগুড়ি,
  • 23 Feb 2023,
  • अपडेटेड 5:43 PM IST
  • সিল্ক রুটের পথে সিকিমের 'দলাপচাঁদ'
  • ওই গ্রামে চিরশান্তি বিরাজ করে
  • যখন-তখন বৃষ্টি নামে এখানে

Cherapunji Of North Bengal: উঁচু-নীচু ছড়িয়ে থাকা কিছু বাড়ি নিয়ে দলাপচাঁদ(Dalapchand) একটি মাঝারি আকারের গ্রাম (Village)। সিকিমের(Sikkim) বিখ্যাত পুরানো সিল্ক রুটের (Silk Route)পথে অবস্থিত যেটি তিব্বতি (Tibetan)ব্যবসায়ীরা প্রায়শই কালিম্পং (Kalimpong) ব্যবসার জন্য ভ্রমণ করতেন পাহাড়(Hill), গিরিপথ (Pass) এবং বন্ধুর এলাকা পার করে। সেই প্রায় মুছে যাওয়া দিনগুলির সাক্ষী হয়ে রয়েছে। প্রায় মুছে যাওয়া একটি ট্র্যাক। স্থানীয় লোকজনের মতে, দলাপচাঁদ মানে 'দ্য গ্রেট ফ্ল্যাট স্টোন'(The Great Flat Stone) বা চ্যাপ্টা পাহাড়। এখানে কয়েকটি প্রশাসনিক অফিস এবং স্কুল রয়েছে। ব্যস, বাকিটা সৌন্দর্যের খনি।

আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘন্টায় কমবে কঠিন কাশিও, বাড়িতেই আছে এই জিনিস

মেঘ-বৃষ্টি-রোদ্দুর

সারাক্ষণই মেঘ-রোদ্দুরের লুকোচুরির মধ্যে ছিমছাম ঠাণ্ডা গ্রাম এই দলাপচাঁদ। এখানকার আতিথেয়তার পাশাপাশি সুস্বাদু ভোজন মন কাড়বে। সঙ্গে স্থানীয় মোমোর স্বাদ নিতে ভুলবেন না। ইতিউতি ভবঘুরের জীবন কাটিয়ে আসার দুর্দান্ত ঠিকানা। এই অঞ্চলে চাষ করা জৈব চাষ এখানে উত্থিত শাকসবজি এবং ফল আপনাকে তুলে এনে দেবে আপনার হোমস্টে-র লোকেরাই।সে স্বাদ কখনওই ভুলবেন না। 

আকাশ পরিষ্কার থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘার তুষারাবৃত চূড়া সহ আশেপাশের পর্বতগুলির একটি মনোরম দৃশ্য মন জুড়িয়ে দেবে। তাছাড়া সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত একই রকম নয়নাভিরাম। প্রচার ততটা নেই। কিন্তু এই দুটি ক্ষণ আপনার সমস্ত দুঃখ ভুলিয়ে দিতে পারে। গ্রামের আশেপাশে জঙ্গলে ঘেরা। তার মধ্যে দিয়ে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে পারেন। তবে বিপদ এড়াতে স্থানীয় গাইড নিয়ে নেওয়াই ভাল। মার্চ-এপ্রিল মাসে এলে, নানা রকম নাম না জানা ফুলে ভরা উপত্যকায় পাখির রকমারি দেখতে পাবেন।

তবে এখানকার আকর্ষণ অবশ্য এখানকার আবহাওয়া। আচমকা আকাশ কাঁপিয়ে কখন বৃষ্টি আসবে আপনি টেরও পাবেন না। বৃষ্টির জলে ভেজা পাহাড়ে চুপচাপ বসে থাকাও যে কতটা আনন্দ দিতে পারে, যাঁরা থাকেননি, তাঁরা বুঝতে পারবেন না। তবে যখনই আসুন ছাতা আর বর্ষাতি সঙ্গে রাখতেই হবে। আবার রাত পেরোলেই দেখবেন ঝকঝকে সূর্য উঠেছে। আকাশের গায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা।

Advertisement

কীভাবে যাবেন?

শিলিগুড়ি হল সিকিমের পাহাড়ের প্রবেশদ্বার। শিলিগুড়ির নিকটতম বিমানবন্দর হল বাগডোগরা (সড়ক দ্বারা প্রায় ১৪ কিমি দূরে) এবং নিকটতম জংশন রেলপথ হল নিউ জলপাইগুড়ি (সড়ক দ্বারা প্রায় ৭ কিমি দূরে)। দালাপচাঁদ শিলিগুড়ি থেকে রংপো এবং রেনক হয়ে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে। গাড়ি ভাড়া করে সরাসরি শিলিগুড়ি থেকে যেতে পারেন। আবার রংপো নেমে আলাদা গাড়ি ভাড়া করেও যেতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ স্বয়ং নানক এসেছিলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুদোংমার লেকে পদে পদে বিস্ময়

কোথায় থাকবেন?

আরিটার ও দলাপচাঁদে বেশ কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে। তবে লাক্সারি খুঁজলে পাবেন না। প্রকৃতিপ্রেমী হলে তবেই আসুন। যাঁরা ভাল হোটেলে থেকে ঘুরতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য দলাপচাঁদ নয়। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী তাঁরা একবার এলে বারবার আসবেন।

দেখার সেরা সময় 

মার্চ থেকে মে, সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে নভেম্বর। ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি খুব ঠান্ডা হতে পারে। এই অঞ্চলে ভূমিধস বর্ষাকালে যাতায়াতকে কঠিন করে তোলে। এপ্রিল মাসে রামনবমী উৎসবের সময়, স্থানীয় লোকেরা সাধারণত লাম্পোখরি উৎসব করে।

আর কী দেখবেন?

কাছেই রয়েছে লাম্পোখারি হ্রদ বা আরিটার হ্রদ। স্থানীয়রা এটিকে একটি পবিত্র হ্রদ হিসাবে বিবেচনা করে। লোকেরা ইচ্ছা পূরণের জন্য হ্রদের কাছে প্রার্থনা করে, তাদের ইচ্ছা পূরণ হলে তারা হ্রদে মাছ ছেড়ে দেয়। লেকে বোটিং করতেও যেতে পারেন। জলাশয়ের শেষ প্রান্তে প্রার্থনা পতাকা দিয়ে ঘেরা একটি মঠ। চারিদিকে বিরাজ করে চিরশান্তি।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement