হাইপারটেনশন বা হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ে নতুন আশঙ্কার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO। তাদের নয়া রিপোর্ট "Global Report on Hypertension 2025,"-এ দাবি করা হয়েছে, দেশের ২১ কোটির বেশি মানুষের রয়েছে এই জটিল অসুখ। আর এঁদের বয়স ৩০ থেকে ৭৯-এর মধ্য়ে।
এখানেই শেষ নয়, আরও ভয়ের কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই বিশাল সংখ্যক হাই ব্লাড প্রেশারে আক্রান্তের মধ্যে মাত্র ৩৯ শতাংশ জানে যে তাঁদের অসুখটা রয়েছে। অপরদিকে ৮৩ শতাংশ মানুষের প্রেশার একবারেই কন্ট্রোলে নেই।
আর হু-এর এই পরিসংখ্যান দেখেই চমকে গিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এটা যদি সামগ্রিক চিত্র হয়, তাহলে পরিস্থিতি খুবই শোচনীয়। এর জন্য আগামিদিনে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। তাই তাঁরা হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ে সার্বিক সচেতনতা চান।
নীরব ঘাতক ব্লাড প্রেশার
অনেকেই হাই ব্লাড প্রেশারকে তেমন একটা পাত্তা দেন না। মনে করেন, এই রোগ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। যদিও বিষয়টা একবারেই তেমন নয়। হাইপারটেনশন খুবই জটিল অসুখ। এই রোগের ফাঁদে পড়লে পিছু নিতে পারে একাধিক সমস্যা। যেমন ধরুন- হার্ট অ্যাটাক, কিডনির অসুখ, চোখের সমস্যা, স্ট্রোক এমনকী ডিমেনশিয়া হতে পারে ব্লাড প্রেশারের জন্য। তাই সাবধান হন। চেষ্টা করুন হাই প্রেশারকে কাবুতে রাখার। তাতেই সুস্থ থাকার কাজে এগিয়ে যাবেন।
হাই ব্লাড প্রেশারকে কাবু করবেন কীভাবে?
এই সমস্যা থেকে সেরে ওঠা সম্ভব নয়। তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই মেনে চলুন এ সব নিয়ম-
১. সবার প্রথমে নুন খাওয়ার অভ্যাসে লাগাম টানতে হবে। কাঁচা নুন তো চলবেই না। আর রান্নাতেও খুব কম নুন খেতে হবে। তাহলেই প্রেশারকে কাবুতে রাখতে পারবেন।
২. ভাজা খাবার, প্রসেসড খাবার একবারেই চলবে না। কারণ, এই ধরনের খাবারে প্রচুর নুন মেশানো থাকে।
৩. প্রতিদিন করতে হবে এক্সারসাইজ। দিনে অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম হল মাস্ট। এই সময়টা আপনি নিজের পছন্দের যে কোনও ব্যায়াম করতে পারেন। তাতেই সুস্থ থাকতে পারবেন।
৪. স্ট্রেস কমাতে হবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম চাই।
৫. নিয়মিত মাপতে হবে প্রেশার। খেতে হবে নিজের ওষুধ।
ব্যাস, এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই অনায়াসে ব্লাড প্রেশারকে কাবুতে রাখা সম্ভব হবে।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।