দুধজাত পণ্যের মধ্যে পনির এবং কটেজ পনির বা চিজ, দুটিই জনপ্রিয় খাবার। যেগুলির মধ্যে পুষ্টিগুণ প্রায় একই হলেও গঠন, স্বাদ ও তৈরির প্রক্রিয়ায় রয়েছে বড় পার্থক্য। ভারতীয় রান্নাঘরে পনির যেমন ঐতিহ্যবাহীভাবে ব্যবহৃত হয়, পশ্চিমা দেশগুলিতে কটেজ পনির তেমনই জনপ্রিয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই দুটির মধ্যে কোনটি শরীরের জন্য বেশি উপকারী ও প্রোটিনসমৃদ্ধ?
পনির: ভারতীয় রান্নার অবিচ্ছেদ্য অংশ
ভারতীয় পনির সাধারণত গরম দুধে লেবুর রস, দই বা ভিনিগার মিশিয়ে তৈরি করা হয়। ছেঁকে নেওয়া জমাট দুধের অংশ কাপড়ে চেপে রাখা হয়, যাতে শক্ত ও চিবোনো মতো গঠন পায়। এই পনিরের স্বাদ হালকা হলেও এটি সহজেই মশলা শোষণ করে নেয়, ফলে পালং পনির, পনির টিক্কা, বা পনির বাটার মশলার মতো খাবারে এর ব্যবহার ব্যাপক।
কটেজ পনির: পশ্চিমা দুধজাত পণ্য
কটেজ পনির মূলত পশ্চিমা খাদ্য সংস্কৃতিতে জনপ্রিয়। এটি লেবুর রস বা ভিনেগারের মতো অ্যাসিডিক উপাদান মিশিয়ে দুধ জমিয়ে তৈরি করা হয়। তবে ভারতীয় পনিরের তুলনায় এটি অনেক বেশি আর্দ্র এবং নরম। এর টেক্সচার ক্রিমি হওয়ায় সালাদ, স্যান্ডউইচ, পাস্তা বা ডেজার্টে এটি ব্যবহার করা হয়।
পুষ্টিগুণের তুলনা
উভয় পনিরই প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। এগুলি শরীরের পেশী গঠন, হাড়ের দৃঢ়তা এবং কোষের পুনর্গঠনে সহায়তা করে। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে—
পনিরে চর্বি ও ক্যালোরির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি, কারণ এটি সাধারণত পূর্ণ-চর্বিযুক্ত দুধ থেকে তৈরি।
কটেজ পনিরে চর্বি কম এবং প্রোটিনের পরিমাণ কিছুটা বেশি থাকে, যা একে স্বাস্থ্যসচেতন ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তিদের কাছে প্রিয় করে তোলে।
কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর?
যাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে বা কম চর্বিযুক্ত খাদ্য চান, তাদের জন্য কটেজ পনির বেশি উপযুক্ত। অপরদিকে, যাদের বেশি শক্তি ও ক্যালোরির প্রয়োজন, যেমন জিমে অনুশীলনকারী বা কিশোর বয়সের বৃদ্ধি প্রাপ্তি পর্যায়ে থাকা ব্যক্তিদের জন্য ভারতীয় পনির ভালো বিকল্প হতে পারে।