শিশুরা অনেকটা ভেজা মাটির মতো। যেমন কুমোর মাটির তালকে আকার দেয়, সেরকমই বাবা-মাও শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে। বাবা-মায়েদের উচিত তাদের সন্তানদের সঠিক বয়সে সঠিক জিনিস শেখানো। কৈশোরে পৌঁছানোর আগে, অর্থাৎ ১৩ বছর বয়সের আগে বাচ্চাদের কিছু জিনিস শেখানো উচিত। যাতে তারা তাদের জীবনের প্রতিটি ধাপে সাফল্যের স্বাদ নিতে পারে এবং ব্যর্থ হলেও তারা যেন না থেমে, কঠোর পরিশ্রম করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা কিছু পেরেন্টিং টিপস দিচ্ছেন, আপনারও কাজে লাগতে পারে।
ঘর পরিষ্কার করা
বাচ্চাদের তাদের ঘর নিজে পরিষ্কার করতে এবং নিজের জিনিস গুছিয়ে রাখতে শেখান। এটি তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ বাড়াতে সাহায্য করে। নিজের বিছানা গোছানো, ঘর পরিষ্কার রাখা শেখান তাদের।
জামাকাপড় ধোয়া
ছোট বাচ্চাদের ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করতে শেখান। জামাকাপড় ধোয়ার সময় তাদের সাহায্য করতে বলুন এবং ধীরে ধীরে তাদের নিজের কাপড় ধুয়ে নেওয়ার অভ্যাস করান। এছাড়াও শুকনো জামাকাপড় ভাঁজ করতে বলুন।
সহজ রান্না
আপনার সন্তানকে স্যান্ডউইচ, ডিম, ভাত ইত্যাদির মতো সাধারণ জিনিস তৈরি করা শেখান। এটি শিশুকে নিজের প্রতি আস্থা অর্জন করতে এবং কীভাবে নিজের যত্ন নিতে হয়, তা বুঝতে সাহায্য করে।
থালা-বাসন ধোয়া
শিশুকে বাসন ধুতে শেখান। অন্তত শিশু যে থালায় খাচ্ছে, তা পরিষ্কার করা উচিত। এতে শিশুর মধ্যে নিজের কাজ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অনুভূতি বাড়াবে।
আবর্জনা না
অনেক শিশুর যে কোনও জায়গায় আবর্জনা ছড়ানো, খোসা বা প্যাকেট ছুঁড়ে ফেলার অভ্যাস আছে। তাদের শুধুমাত্র ডাস্টবিনে আবর্জনা ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনি যদি কোথাও বাইরে থাকেন, তবে রাস্তায় আবর্জনা না ফেলে সঙ্গে রাখতে বলুন এবং ডাস্টবিন দেখলেই ফেলতে শেখান।
অপচয় না
শিশুকে অর্থের গুরুত্ব বুঝিয়ে বলুন যে অর্থ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যয় করা উচিত। যদি তাদের পকেট মানি দেন, তাহলে সেই টাকা কোথায় খরচ করতে হয় এবং কীভাবে টাকা বাঁচাতে হয় তা শেখান।
সহজ রক্ষণাবেক্ষণ কাজ
বাচ্চাদের বাল্ব, ওয়াটার প্ল্যান্ট পরিবর্তন করতে এবং স্ক্রু লাগানো বা খোলা শেখান। যাতে তারা যে কোনও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বিকাশ করে।
সময় ব্যবস্থাপনা
আপনার শিশুকে টাইম ম্যানেজমেন্ট শেখান। যাতে সে তার সমস্ত কাজ সময় মতো সম্পন্ন করে। তাকে সময়ে কাজ শেষ করতে শেখান। যা পরবর্তী জীবনেও তার জন্য কার্যকর হবে।