পিঠের ব্যথা অনেক সময় ছোটখাটো সমস্যা মনে হয়। ভারী জিনিস তোলা, খারাপ ভঙ্গিমা বা দৈনন্দিন অভ্যাসের কারণে এটি সাধারণত হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, দীর্ঘস্থায়ী এবং ক্রমবর্ধমান পিঠের ব্যথা কখনও কখনও ফুসফুসের ক্যান্সারের মতো গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে।
সিনিয়র কনসালট্যান্ট এবং অনকোলজিস্ট ডঃ সানি জাইন জানিয়েছেন, 'ভারী জিনিসপত্র তোলা, খারাপ ভঙ্গিমা বা বার্ধক্যজনিত কারণে প্রায়শই পিঠে ব্যথা হয়। সাধারণ ব্যথানাশক বা পেশী শিথিলকারী উপশম দেয়। তবে যদি ব্যথা অব্যাহত থাকে, তবে সতর্ক হওয়া উচিত। কখনও কখনও, এটি ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। ফুসফুসের ক্যান্সার এমন একটি রোগ যেখানে ফুসফুসের কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে, যেমন মেরুদণ্ড বা হাড়ে ছড়িয়ে পড়ে, যা পিঠে ব্যথার কারণ হতে পারে।'
২০২৪ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাডভান্সড-স্টেজ নন-স্মল সেল লাং ক্যান্সার (NSCLC) আক্রান্ত ৩০–৪০% রোগীর ক্ষেত্রে ক্যান্সার হাড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে মেরুদণ্ড সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়, যা মেরুদণ্ডের সংকোচনের কারণ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্সারের কারণে মেরুদণ্ডের সংকোচনের প্রায় ১৫% ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যান্সার দায়ী।
ডঃ সানি জাইন সতর্ক করেছেন যে ফুসফুসের ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ কখনও উপেক্ষা করা উচিত নয়: রাতে বা বিশ্রামের সময় ক্রমাগত, গভীর এবং ক্রমবর্ধমান পিঠের ব্যথা যা সাধারণ ফিজিওথেরাপি বা ব্যথানাশকে সাড়া দেয় না। ব্যথার সঙ্গে ক্রমাগত কাশি, অপ্রত্যাশিত ওজন হ্রাস, ক্ষুধা হ্রাস, শ্বাসকষ্ট বা রক্তাক্ত কফ। ফুসফুসের ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে সময়মত চিকিৎসা সম্ভব। তাই যদি এই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে একজন অনকোলজিস্ট বা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি।