পাইসল খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি রোগ। পাইলস ব্যথার পাশাপাশি জীবনযাত্রাকেও অস্বস্তিকর করে তোলে। কয়েকবছর আগের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৫০ বছর পার হওয়ার পর ৫০ শতাংশ মানুষেরই এই সমস্যা দেখা দেয়।
পাইলসের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, এই রোগে মানুষ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে ইতস্তত করেন এবং লুকিয়ে রাখেন। যার ফলে রোগটি বাড়তে থাকে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। শুরুতে শুধু ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়। কিন্তু সমস্যা বেড়ে গেলে রক্তপাতও হতে শুরু করে। পাইলসের ক্ষেত্রে মলদ্বার বা মলদ্বারের রক্তনালীগুলি বড় হয়ে যায় যার কারণে জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হয়।
পাইলস হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, অনুপযুক্ত হজম, খুব ভারী জিনিস তোলা, গ্যাসের সমস্যা, মানসিক চাপ, স্থূলতা এবং পায়ু সহবাসের কারণে এই রোগ হয় (Piles Reason)।
পাইলসের ব্যথা সবারই যে একরকম হয় তেমনটা নয়। মলদ্বার এলাকায় ব্যথা, চুলকানি, জ্বালাপোড়া, ফোলা এবং সংক্রমণ এই রোগের সাধারণ লক্ষণ (Piles Symptoms)। এই রোগ নিয়ে মানুষ চিকিৎসকের কাছে যেতে লজ্জা পেলেও (Piles Treatment), অনেক সময় ঘরোয়াভাবেই এটি সারিয়ে তোলা যায়।
সেক্ষেত্রে বাড়ির রান্নাঘরেই এমন একটি জিনিস রয়েছে, যা ব্যবহার করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাইলস নিরাময় করা যেতে পারে। আপেল সিডার ভিনেগারের সাহায্যে ঘরোয়াভাবে পাইলসের চিকিৎসা (Piles Treatment In Home Items) করা সম্ভব।
এটি কীভাবে ব্যবহার করবেন?
আপেল সিডার ভিনেগারে সংক্রমণ বাড়তে না দেওয়ার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ব্যবহারে মলদ্বার এলাকায় সংক্রমণ বাড়ে না এবং এটি ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া এটি ব্যবহার করলে জ্বালাপোড়া থেকেও উপশম মেলে। ফোলাভাব কমে যায় এবং আরাম পাওয়া যায়। চাইলে এতে অ্যালোভেরাও যোগ করা যেতে পারে।
ব্যবহারের পদ্ধতি:
১. একটি পরিষ্কার পাত্রে দুই চামচ আপেল সিডার ভিনেগার নিন।
২. তাতে একটি পরিষ্কার তুলোর টুকরো ডুবিয়ে রাখুন।
৩. আক্রান্ত স্থানে সেই তুলা লাগান।
৪. যতক্ষণ না স্বস্তি অনুভব করতে শুরু করেন ততক্ষণ এই প্রক্রিয়াটি করুন। তবে প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান।
আরও পড়ুন - থাইরয়েড ধরে না, ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলি