আমাদের দেশকে সর্বদা কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এখানকার একটি বিশাল জনগোষ্ঠী কৃষির উপর নির্ভরশীল। দেশের কৃষকরা এখন ঐতিহ্যবাহী কৃষিকাজের পাশাপাশি ঔষধি গাছ, ফুল, ফল এবং কাঠের গাছ চাষ করছেন। এমন একটি উদ্ভিদ আছে, যা চাষ করে আপনি ধনীও হতে পারেন। পপলার নামের এই গাছটি কেবল ভারতেই নয়, আরও অনেক দেশেই চাষ করা হয়। আপনি অন্যান্য ফসলের সঙ্গে জমির সীমানায় লাগাতে পারেন। এটি আপনার অতিরিক্ত আয় নিশ্চিত করবে। পপলার এমন একটি গাছ, যা অনেক ধরনের গৃহস্থালীর পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
কোন মাটি সবচেয়ে ভাল
এই গাছ গৃহস্থালীর পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পপলারের কাঠ থেকে প্লাইউড, খেলনা, দেশলাইয়ের কাঠি, পাল্প পেপার, প্যাকিং কেস এবং কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি করা হয়। এ কারণেই এটি সহজেই অনেক দামে বিক্রি হয়। দোআঁশ এবং এঁটেল মাটি এর চাষের জন্য সবচেয়ে ভাল। মাটিতে কার্বনের পরিমাণ বেশি থাকা উচিত, যার ফলে গাছের বৃদ্ধি ভাল হবে। মাটির pH মান ৬.৫ থেকে ৭.৫ হওয়া উচিত। চারা লাগানোর ৬ থেকে ৮ বছর পর পপলার গাছ তৈরি হয়। জুলাই থেকে অগাস্ট অথবা নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে বর্ষাকালে গাছটি লাগান। একটি গাছের থেকে আরেকটি গাছের দূরত্ব ৩ মিটার এবং সারির দূরত্ব ৪ মিটার হওয়া উচিত। আপনি মাঝের খালি জায়গায় অন্য যে কোনও ফসল চাষ করতে পারেন।
এক হেক্টরে এই পরিমাণ গাছ লাগানো হবে
ভাল উৎপাদনের জন্য কৃষকদের শুধুমাত্র উন্নত জাতের গাছ নির্বাচন করা উচিত। ক্লোন G-3, G-48, L-34, L-51, L-74, L-188, L-247 উন্নত প্রজাতির পপলার হিসেবে বিবেচিত হয়। কৃষকরা সহজেই এক হেক্টরে ২৫০টি গাছ লাগাতে পারেন। তারা এর সঙ্গে অন্যান্য ফসলও চাষ করতে পারেন। একটি গাছের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ ফুট হয়। পপলার গাছ লাগানোর পরপরই সেচ দেওয়া উচিত। এতে প্রচুর আর্দ্রতা প্রয়োজন। গাছের ভাল বৃদ্ধির জন্য শীতকালে ছাঁটাই করা উচিত। এক হেক্টর জমিতে এই গাছটি লাগালেই সহজেই ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।