সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায়ই কোনও না কোনও জিনিস ভাইরাল হতে দেখা যায়। সেটা গন হোক বা কোনও খাবার জিনিস অথবা কোনও অদ্ভুত কিছু। সেরকমই বেশ কিছুদিন ধরে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে ভাইরাল লাবুবু ডল। এই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকে এটা কিনে ফেলেছেন। লাবুবু ডল এতটাই ভাইরাল যে এটা কেনার জন্য মানুষ জলের মতো পয়সা খরচ করতেও পিছু পা হচ্ছেন না। ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে চোখ গোল গোল, বড় বড় দাঁত, লম্বা লম্বা কানওয়ালা 'লাবুবু' কিনেছেন অনেকেই। আপাতত এমন অদ্ভুত দর্শন পুতুলেই মন মজেছে সকলের।
এই ডলের ট্রেন্ড এতটাই বেশি যে বিদেশ থেকে শুরু করে ভারতে এই ডলের দাম আকাশ ছোঁয়া।যদিও দামের তুলনায় এই ডলের গুণগত মান অতটা ভাল নয়। বাজারে এই ডলের নকলও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এই লাবুবু ডলের ট্রেন্ড গা ভাসানো মোটেও ঠিক নয়। আসুন জেনে নিই এই ডল না কেনার ৭ গুরুত্বপূর্ণ কারণ। যা জানার পর এই ডল কেনার আগে দ্বিতীয়বার ভাববেন।
অতিরিক্ত দাম
লাবুবু ডল খুবই ছোট অথচ দাম প্রচুক। এই ছোট্ট পুতুলের ডিজাইন খুবই সাধারণ, তাও এই একরত্তি ডলের মূল্য ৫০০ থেকে শুরু করে ১৫০০ বা তারও বেশি। তাই এই ডলের দামও যেমন অতিরিক্ত আর এটা নিয়ে বাড়াবাড়িও করা হচ্ছে।
খারাপ মানের পুতুল
এত দাম হওয়া সত্ত্বেও এই ডলের গুণগত মান একেবারেই ভাল নয়। অনেকেই জানিয়েছেন যে এই ডলের রং খুব তাড়াতাড়ি ফিকে হয়ে যায়, কিচেইনের রিং ভেঙে যায় আর প্লাস্টিকও সস্তা মনে হয়।
নকল জিনিস
বাজারে বহু নকল লাবুবু ডল কিচেইন বিক্রি হচ্ছে। এটা দেখতে আসল লাগলেও তা খারাপ জিনিস দিয়ে তৈরি। অথচ দাম প্রচুর। তাই অতিরিক্ত দাম দিয়ে কেনার পরও আপনি নকল জিনিস বাড়ি নিয়ে আসতে পারেন।
এই ডলের কোনও ব্যবহার নেই
লাবুবু কিচেইন শুধু দেখানোর জন্য। এটা বড় হয়, এটা নিয়ে যাওয়া বেশ মুশকিলের আর আসল চাবির রিংয়ের মতো সুবিধা দেয় না।
লাবুবু ডলের ট্রেন্ড
লাবুবু ডলের ট্রেন্ড সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খুব শীঘ্রই শেষ হয়ে যেতে পারে। অনেকে ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে কিনলেও পরে এর ওপর থেকে মোহ হারিয়ে ফেলছেন, যার ফলে এগুলো বেকার হয়ে যায়।
নীতিগত সমস্যা
এগুলি এমন কারখানায় তৈরি করা হয় যেখানে কাজের পরিবেশ এবং পরিবেশগত প্রভাব অস্পষ্ট। যার ফলে এই জিনিসপত্র কেনা একটি নীতিগত সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
অর্থের অপচয়
বেশিরভাগ মানুষই তাড়াহুড়ো করে লাবুবু কিচেইন কিনছেন। কিছু সময় পরে এগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকবে এবং আপনার অর্থ অপচয় হতে পারে।