শীতকালে বাজারে প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল পাওয়া যায়। শাকসবজি বা ফল খাওয়ার পরামর্শ সব সময় দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। আর মরশুমি ফল বা শাকের তো কোনও তুলনাই নেই। তা খেলে রোগবালাই থেকে অনেকটাই দূরে থাকা যায়। শরীর থাকে ফিট।
গুণকীর্তনের শেষ নেই
শাক-সবজির গুণকীর্তন বলে শেষ করা যায় না। তারই মধ্যে একটি হল লাল শাক। শীতের দুপুরে গরম ভাতে লালশাক খেতে কার না ভাল লাগে। আর এর এত উপকার বা গুণাগুণের কথা জানলে তো বোধহয় লালশাক রোজ পাতে পড়বে।
আরও পড়ুন: পৌষমেলার অনুমতি চাই, না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ব্য়বসায়ী সংগঠনের
শীতকালের আর এক 'সুপারফুড'
শীতকালের 'সুপারফুড' লালশাক সন্দেহ নেই। ১০০ গ্রাম লালশাকের মধ্যে ক্যালসিয়াম রয়েছে ৩৭৪ মিলিগ্রাম, প্রোটিন রয়েছে ৫.৩৪ গ্রাম। এই শাকের আরও কী গুণ রয়েছে জেনে নিই।
হার্টের জন্য ভাল
যাঁরা কোলেস্টরলের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য লালশাক খুব উপকারী। তা খেলে কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এই শাক।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার একগুচ্ছ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, জানতেন?
ক্যান্সার ঠেকাতে
লালশাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এর পাশাপাশি অ্যান্টি-ক্যান্সার গুণ রয়েছে রয়েছে।
চোখের জন্য
এতে থাকে ভিটামিন ই। যা রেটিনার কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফলে দৃষ্টি শক্তি বাড়িয়ে তুলতে, ভাল রাখতে এটা অত্যন্ত উপকারী।
আয়রনের ভাণ্ডার
যাঁরা রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য লালশাক খুব কাজের। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে লাল শাক।
আরও পড়ুন: করোনার ধাক্কা! বেসরকারি ছেড়ে দেশে বাড়ল সরকারি স্কুলে ভর্তির হার
কম ক্যালোরি
লালশাকে ক্যালোরি থাকে অত্যন্ত কম। ফলে রোজ খেলেও ওজন বেড়ে যাওয়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। এটি পেটে থাকে। ফলে চটজলদি খিদে পায় না। তাই খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকারী
লাল শাকে প্রচুর ফাইবার থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার সমাধান করতেও এটি অত্যন্ত কাজের। এর পাশাপাশি লালশাকে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস, আয়রন ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই। শরীরের জন্য অত্যন্ত কাজের।
পাশাপাশি লালশাকে থাকে ক্যালসিয়াম। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জন্য অত্যন্ত কাজের। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানার জন্য লালশাক দাঁতের জন্য খুব উপকারী।