পরোটা, সুজির মতো অনেক খাবারেই ময়দা লাগে। আপনি নিশ্চয়ই আপনার আগে শুনেছেন যে বেশি ময়দা খেলে পেট খারাপ হয়। কিন্তু আপনি কি জানতে চান না তাদের এমন কথা বলার কারণ কী? ময়দা দিয়ে কি ক্ষতি হয় তা, জানার আগে জেনে নেওয়া খুব জরুরী কিভাবে তৈরি হয় ময়দা? ময়দাও তৈরি হয় গম দিয়ে। ময়দা তৈরির জন্য যেমন গম ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হয়, তেমনি ময়দার জন্যও প্রথমে গম ভালো করে ধুয়ে নেওয়া হয়। এর পরে গমের উপরের স্তরটি সরানো হয়। এর পরে, গমের সাদা অংশ খুব সূক্ষ্মভাবে পিষে নেওয়া হয়। পিষে নেওয়ার পর যে মসৃণ এবং একেবারে সূক্ষ্ম পাউডার পাওয়া যায় তা হল ময়দা।
ময়দা দিয়ে বানানো জিনিস খাওয়ার অপকারিতা
ময়দা তৈরি হয় গম দিয়ে। গম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বিবেচিত হলেও, ময়দা বিপজ্জনক। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল ময়দা তৈরির সময় গমের উপরের খোসা তুলে ফেলা হয়। যার কারণে এর ফাইবার দূর হয়। এমন অবস্থায় এতে কোনো আঁশ অবশিষ্ট থাকে না, তাই কেউ যখন ময়দা থেকে তৈরি উপাদান খায়, তখন তা পুরোপুরি হজম হয় না।
সঠিক হজমের অভাবে এর কিছু অংশ অন্ত্রে আটকে যায় এবং অনেক রোগের কারণ হতে পারে। এটি খাওয়ার কারণে প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।এর পাশাপাশি ময়দাও প্রচুর তেল শোষণ করে। অতিরিক্ত তেল ব্যবহার সমস্যা করতে পারে। এমতাবস্থায় ময়দা থেকে তৈরি জিনিস অন্তত খাওয়ার চেষ্টা না করা উচিত।
শরীরে অনেক সমস্যা করে
অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যাসিডিক খাবারের কারণে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। এ কারণে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। সিরিয়ালকে অ্যাসিডিক খাদ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। গবেষণায় বলা হয়েছে, খাবারে ময়দার মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হাড়ের ক্ষতি করতে পারে। অ্যাসিডিক খাদ্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, শরীরকে রোগের ঝুঁকিতে ফেলে। পরিশোধিত ময়দা থেকে তৈরি খাবার চর্বি কমানোর প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। এর ফলে শরীরে চর্বি জমতে শুরু করে। এর জেরে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। ফলে কোনও কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া জরুরি।