শুরু হয়েছে বিয়ের মরসুম। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ছেলে-মেয়েরা বিয়ের আগে একে অপরকে চেনার অনেক সময় পায়। ফলে তারা একে অপরকে অনেকটা বুঝতে পারে। বিয়ের আগে যদি কারও পছন্দ- অপছন্দ, সুবিধা- অসুবিধা, চিন্তা -ভাবনা ইত্যাদি সম্পর্কে বোঝা যায়, তাহলে বিয়ের পর দাম্পত্য জীবন খুব ভাল ভাবে চলে।
বিয়ের জন্য অনেক বেশি কিছু করতে হয় এবং বোঝাপড়ার প্রয়োজন হয়। বিয়ের আগে ও পরে কিছু বিষয়ে যত্ন নেওয়া উচিত। বিয়ের পরে জীবন অনেকটাই পাল্টে যায় স্বামী- স্ত্রী, উভয়ের ক্ষেত্রেই। কিছু টিপস রইল, যা আপনাকে সাহায্য করবে বিবাহিত জীবন মধুর করতে।
বাগদত্তার সঙ্গে কথা বলুন
কোনও সমস্যা থাকলে, তা নিজের মনে না রেখে বাগদত্তার সঙ্গে কথা বলা উচিত। সব কিছু খোলামেলা আলোচনা করা ভাল। যদি মনে দ্বিধা থাকে এবং সেটা নিয়ে কথা না বলেন, তাহলে বিয়ের পরেও আপনি দ্বিধায় থাকবেন। এতে বিয়ের পর সম্পর্কে সমস্যা হতে পারে। তাই সমস্ত দ্বিধা এড়িয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন।
সন্তানের পাশাপাশি স্বামীকে গুরুত্ব দিন
অনেক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যায় বিয়ের পর যখন সন্তান হয়, তখন মেয়েদের মনোযোগ তার সন্তানের দিকেই বেশি হয়। তবে সুস্থ সম্পর্কের জন্য দু'জনকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই বিয়ের আগের মতো, সন্তান হওয়ার পরও স্বামীকে গুরুত্ব দিন। শিশুরা যা দেখে, পরে তাই করে।
জয়- পরাজয়ের অনুভূতি দূরে রাখুন
বিয়ের পর দম্পতির মধ্যে ঝগড়া -অশান্তি সাধারণ ঘটনা। কিন্তু কোনও বিবাদে জয়-পরাজয়ের কারণে মতভেদ দেখা দিলে সম্পর্কের মধ্যে সমস্যা বাড়ে। তাই সর্বদা পরাজয় ও জয়ের অনুভূতি থেকে দূরে থাকুন এবং যে কোনও ঝগড়া অবিলম্বে শেষ করুন।
বিয়ের পরেও ডেটে যান
অনেক সময় দেখা যায় সময়ের অভাবে দম্পতিরা ঘুরতে যেতে পারছেন না। এটা করলে তাদের প্রেমের জীবনে ভালোবাসা কমে যেতে পারে। তাই সময় পেলেই স্বামীর সঙ্গে ডেটে যান। সম্ভব হলে সময়ে স্বামীর পছন্দের খাবার রান্না করুন।
প্রতিটি সকাল যেন নতুন শুরু
শুভ সকাল, শুভরাত্রির মতো শব্দগুলি বিয়ের পরেও আপনার সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসার মাধুর্য যোগ করে। গতরাতে হয়তো আপনাদের দু'জনেরই ঝগড়া হয়েছে এবং আপনি নিজে যদি সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে স্বামীকে শুভ সকালের শুভেচ্ছা জানান, তবে অবশ্যই অপর ব্যক্তির রাগ কমবে।
একে অপরকে স্পেস দিন
যে কোনও সম্পর্কে একে অপরকে স্পেস দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আপনার স্বামী যদি কোথাও কাজ করে এবং আপনি যদি তাকে বন্ধু বা সহকর্মীদের সঙ্গে বাইরে যাওয়ার স্পেস না দেন, তাহলে তার দম বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করবে। তাই সব সময় একে অপরকে স্পেস দিন।