করোনা মহামারির পর থেকে দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। দেশের প্রায় ৯০ মিলিয়ন মানুষ এই ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়ছেন। যা বছরের পর বছর বেড়েই চলবে। মানুষের জীবনধারনের ওপর নির্ভরশীল এই ডায়াবটিস। যা সহজে শরীর থেকে বের হতে চাই না। তবে এই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
ডায়াবেটিস এমন এক পরিস্থিতি, যা কোনও ব্যক্তির ব্লাড সুগারের মাত্রাকে অসামান্য রুপে বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে এর উপায় বলেছেন সদগুরু জগ্গী দেব। তিনি এক ভিডিওতে জানিয়েছেন যে কীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে এই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ডায়াবেটিসের রোগী কিছু কাজ করেই এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। মাত্র ৬ সপ্তাহে এই ম্যাজিক হবে বলেও জানিয়েছেন সদগুরু। এরপর তাঁকে আর ওষুধ খাওয়ারও প্রয়োজন নেই। আসুন জেনে নিই যে সদগুরুর ৪ টোটকা আসলে কী, যেটার পর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে সবসময়।
সময় কাটান প্রকৃতির সঙ্গে
সুগার কন্ট্রোল করার জন্য আপনাকে মাটির সঙ্গে সবসময় জুড়ে থাকতে হবে। যদি আপনি রোজকার রুটিনে প্রাণায়াম বা যোগাভ্যাস না রাখতে পারেন, তাহলে কিছুটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে কাটান। খালি পায়ে বাগানের সবুজ ঘাসে হাঁটুন। দিনে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট মাটির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারলে ব্লাড সুগার খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া মাড বাথ নিতে পারেন। ৬ মাসে একবার এটা করতে পারেন।
শাম্ভবী মুদ্রা করুন
সদগুরুর মতে, ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যোগব্যায়াম একটি খুব ভাল বিকল্প। এটি শুধু শক্তি বাড়ায় না রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে শক্তি চালনা কার্যক্রম খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। এটি কেবল শরীরকে শুদ্ধ করে না, শক্তির প্রবাহও বাড়ায়। আপনি চাইলে অনলাইনে দেখেও এই যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। এর সঙ্গে শাম্ভবী মুদ্রাও চেষ্টা করুন। মাত্র ৬ সপ্তাহেই ডায়াবেটিসের পার্থক্য দেখতে পাবেন।
আর্যুবেদ ওষুধে ভরসা
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই ডাক্তারের নির্দেশিত ওষুধ খান। কিন্তু সদগুরু পরামর্শ দেন যে যাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি তাদের ঔষধি গুণসম্পন্ন ওষুধ সেবন করা উচিত। মেথি বীজ, শুকনো আদা এবং দারুচিনির মতো ভেষজ এবং মশলা ব্যবহারে রক্তে শর্করা সবসময় স্বাভাবিক থাকবে। এছাড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও গিলয় দারুণভাবে কার্যকর।
গম এবং ময়দা থেকে দূরে থাকুন, গোটা শস্য খান
ডায়াবেটিসে ময়দা খাওয়া উচিত নয়। সম্ভব হলে গমের আটার ব্যবহারও কমিয়ে দিন। সদগুরুর মতে, ডায়াবেটিস রোগীদের তাঁদের খাদ্যতালিকায় আটা বা গমের পরিবর্তে গোটা শস্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বাজরা এবং রাগি খাওয়ার পরে শর্করার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এগুলো খেলে সুগার স্পাইকের ঝুঁকিও অনেক কম থাকে।