বিগত কিছুদিন থেকে দিল্লি ও আসপাশের এলাকার মানুষ দূষণের কারণে নাজেহাল হয়ে গিয়েছেন। ধোঁয়ার আকারে দূষণ ফুসফুসে আক্রমণ শুরু করেছে। শুধু দিল্লি কেন, ভারতের বহু এলাকায় শীতকালে বিশেষ করে ফুসফুস সামলে রাখা হয়ে পড়েছে দুষ্কর। তাছাড়া করোনা অতিমারীর মূল আক্রমণ ফুসফুসেই। যা থেকে বাঁচতে না পেরে অনেক মানুষই হয়ে পড়েছে দুর্বল।
ডাক্তারকে বলুন বাইবাই
আমরা ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকেই ডাক্তারে কাছে যাই। হাজার হাজার টাকার ওষুধ খাই। কিন্তু সাধারণ কয়েকটি জিনিস নিয়মিত খেতে থাকলে, দূষণ হোক কিংবা করোনা কাছে ঘেঁষবে না কিছুতেই। করোনা থেকে বাঁচতে কিংবা ফুসফুস রক্ষা করতে সাধারণ কয়েকটি খাবার নিয়মিত তালিকায় রাখুন।
গুড়- আখের গুড় মানুষের শরীরে অ্যান্টি অ্যালার্জিক এর কাজ করে। ধুলোবালির কণায় থাকা ক্ষতিকর পদার্থকে গুড় ছাঁকনির মতো আটকে দেয়। তা ফুসফুসে যাওয়ার আগেই আটকে যায়। তাছাড়া গুড়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে এবং অক্সিজেন সরবরাহ ভাল রাখে। দূষণে সময় কাটালেও তা শরীরে প্রভাব ফেলে না।
জয়িত্রির তেল- জয়িত্রির তেল হৃদপিণ্ডকে দূষণের প্রকোপ থেকে বাঁচায়। খাবারের সঙ্গে মেখে কিংবা জয়িত্রির তেল দিয়ে রান্না করে খেলে দূষণজনিত কালো ধোঁয়া শরীরের ক্ষতি করতে পারে না।
শণের পাপড়ি- শণে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোইস্ট্রোজেন এবং ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর কাজ করে। যা দূষণ থেকে শরীরের একাধিক অঙ্গকে বিকল হওয়া থেকে বাঁচায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শণের সেবন নিয়মিক করলে প্রায় বেশিরভাগ দূষণজনিত রোগ থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।
হার্বাল টি - হার্বাল টি শরীরের ভিতর অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে এবং টক্সিনগুলিকে বের করে দেয়। যা শরীরকে তাজা ও ঝরঝরে রাখে। নিয়মিত হার্বাল টি খেলে শরীরে ফ্যাট ও কোলেস্টরল কম থাকে। ওজন কমে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে থাকে।
টমেটো- টমেটো পুড়িয়ে বা কাঁচা খেলে লাইকোপিন নামে এক রকম অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা দূষণে শরীরকে ধূলিকণা, বালিকণা, জীবাণু থেকে সুরক্ষা দেয়। সপ্তাহে ৩-৪ দিন টমেটো খেলে শরীর ঝকঝকে থাকে, দূষণ থেকে বাঁচে। করোনা প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর টমেটো।
রসুন- রসুন যে কোনও খাবারের সঙ্গে খাওয়া ভালষ কিন্তু যদি রসুন খালিপেটে সকালে এক গ্লাস জলের সঙ্গে খেতে পারেন, তাহলে সারাদন শরীরকে সুরক্ষা কবচের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখে রসুন। ফলে শরীর সুস্থ থাকে।
ভিটামিন সি যুক্ত খাবার - যে কোনও খাবারের সঙ্গে ভিটামিন সি রাখতেই হবে করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে। লেবু, পেয়ারা, আমলকি, অঙ্কুরিত ছোলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। রোজ এগুলি খেলে কোনও রোগই ছুঁতে পারবে না।