গ্রীষ্ণের দাবদাহে রসালো মিষ্টি আম আপনার শান্তি এনে দেবে। গরমকাল অনেকের অপ্রিয় হলেও আমের জন্য এই মরশুম চুপ করে সহ্য করে নেন। আমের সঙ্গে প্রাণের টান যাঁদের, সারা বছর অপেক্ষা করেন এই মরসুমের জন্য। সকাল, দুপুরে এমনকি রাতেও আম খান অনেকে। আম খেলে মন এবং শরীর দুটোই ভাল থাকে। তবে এমন কিছু খাবার আছে যা আমের সঙ্গে খেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের।
আইসক্রিম
আমের আইসক্রিম খেতে ভালো লাগলেও আমের সঙ্গে ভুলেও আইসক্রিম একসঙ্গে খাবেন না। কারণ আমের জাত গরম আর আইসক্রিম ঠান্ডা। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
টকজাতীয় ফল
আমের সঙ্গে টকজাতীয় খাবার একেবারেই নয়। লেবু ও কমলালেবু আমের সঙ্গে ভুলেও খাবেন না। এতে শরীরের পিএইচ ব্যালান্স বিগড়াতে পারে।
দই
আমের সঙ্গে দইয়ের একেবারেই সদ্ভাব নেই। দু’টি খাবার একসঙ্গে গলাঃধকরণ করলে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। এমনকি আম খাওয়ার পরেও দই খেতে বারণ করা হয়। এতে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভাত-রুটি
অনেকেই রুটি-সবজির সঙ্গে আমের টুকরো খেয়ে থাকেন। এটা এড়িয়ে যান, হজমশক্তির গণ্ডগোল হতে পারে।
কোল্ড ড্রিঙ্কস
আমের সঙ্গে কোল্ড ড্রিঙ্কস খাবেন না। এটাতে ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়তে পারে।
উচ্ছে বা করলা
গরমে অনেকেরই প্রথম পাতে উচ্ছে ভাজা কিংবা উচ্ছে ডাল থাকেই। আবার শেষ পাতে থাকে আম। আমের সঙ্গে উচ্ছের এই যুগলবন্দি কিন্তু শরীরের জন্য মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। বমি, মাথাঘোরা ছাড়া পেট খারাপের আশঙ্কাও ঝেড়ে ফেলা যায় না।
তেল মশলাদার খাবার
গরমে দুপুরে জমিয়ে ভূরিভোজের পর একটু আম না খেলে চলে না। কিন্তু তেল-মশলাদার খাবারের সঙ্গে আম খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আমে থাকা অ্যাসিড মশলার সঙ্গে বিক্রিয়ায় হজমের গোলমাল সৃষ্টি করে। বাজার থেকে আম কেনার পর ভালো করে ধুয়ে এরপর আমের খোসা ছাড়িয়ে তবে খান। কারণ বর্তমানে আম রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হয়।