Advertisement

Heart Attack: পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি মহিলাদের চেয়ে বেশি! কেন জানেন?

Heart Attack: সারা বিশ্বে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি। কেন জানেন? জেনে নিন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরিন্দম পাণ্ডের (Dr Arindam Pande, Cardiologist) মতামত...

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি।
সুদীপ দে
  • কলকাতা,
  • 05 Mar 2022,
  • अपडेटेड 4:21 PM IST
  • সারা বিশ্বে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
  • গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি।

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা অনেক দেশের স্বাস্থ্য অবকাঠামোকে নাড়া দিয়েছে। ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে, বেশিরভাগ চিকিৎসক এই মহামারীতে আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিযুক্ত রয়েছেন। এসবের মাঝেও স্বাস্থ্য সুবিধা ও চিকিৎসকের অভাবের মতো নানা কারণে অসংক্রামক সমস্যা (NCDS) পুরোপুরি মনোযোগ পাচ্ছে না। হৃদসমস্যা সহ NCDS এর সমস্ত রোগের জন্য বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন। NCDS হল দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা যা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হৃদসমস্যা ইত্যাদির মতো ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়ায় না।

সারা বিশ্বে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি। মহামারীর কারণে হৃদরোগীরা তাদের নিয়মিত চেকআপের জন্যও হাসপাতালে যেতে পারছেন না, এমন পরিস্থিতিতে তাদের জন্য ঝুঁকি আরও বেড়েছে।

মহামারীর মধ্যে হৃদরোগীদের সমস্যা কেন বেড়েছে?
বিভিন্ন কারণে কোভিড-১৯ মহামারীতে হৃদরোগের বোঝা বেড়েছে। রোগের বিস্তারের কারণে, কিছু হৃদরোগী নিয়মিত চেক-আপের জন্য হাসপাতালে যেতে পারছেন না, ওষুধও নিতে পারছেন না। দীর্ঘদিন ধরে কিছু রোগীর ওষুধের মাত্রায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে এ ধরনের রোগীরা নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ কারণেই ক্রমাগত বাড়ছে হৃদসমস্যা।

দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন, ২১টি দেশের ১.৬০ লাখ মানুষের উপর পরিচালিত একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে মহিলারাও পুরুষদের তুলনায় কম হৃদরোগের (CVD) ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের শরীর যেভাবে হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে তাতে বড় পার্থক্য রয়েছে। এর কিছু কারণ এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হল...

খাদ্য এবং জীবনধারা
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্বল জীবনযাপন এবং সব ধরনের অভ্যাস যেমন মদ্যপান ও ধূমপানের কারণে পুরুষরা মানসিক চাপে ভোগেন। ভারত সহ বিশ্বের বড় অংশে দেখা গেছে যে, মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা এই অভ্যাসের শিকার বেশি। এ কারণে পুরুষদের মধ্যে হার্ট সংক্রান্ত সমস্যাও বেশি দেখা যায়। পুরুষরা মহিলাদের তুলনায় বেশি খাবার খান, যার কারণে তারাও স্থূলতার প্রবণতা বেশি। এই অবস্থায়, রক্তে প্লাক তৈরি হয়, ধমনীর কাজকে বাধা দেয়। এসব কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে।

Advertisement

তবে এ ছাড়াও হরমোনের প্রভাবে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরিন্দম পাণ্ডে (Dr Arindam Pande, Cardiologist) জানান, মূলত হরমোনের প্রভাবেই মহিলাদের পুরুষদের তুলনায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম। মহিলাদের শরীরে যে ইস্ট্রোজেন হরমোন থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। অর্থাৎ, ইস্ট্রোজেন মহিলাদের শরীরে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখে। যত বয়স পর্যন্ত মহিলাদের ঋতুস্রাব হয়, ততদিন পর্যন্ত ইস্ট্রোজেন-সহ এমন একাধিক হরমোন নির্গত হয় যা তাঁদের শরীরের কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

ডাঃ পাণ্ডে আরও জানান, এই ইস্ট্রোজেন হরমোন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও বেশ সহায়ক। এই কারণেই মেনোপজের (ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পর) পরে মহিলারা কার্ডিওভাসকুলার রোগে বেশি আক্রান্ত হন। কারণ এই সময়ে শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ অনেকটাই কমে যায়।

ডাঃ পাণ্ডে বলেন, “তবে ইদানীং এই পরিসংখ্যানে কিছুটা বদল এসেছে। কারণ, ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদের মধ্যেও বেড়েছে। এটা বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। এর পাশাপাশি বিগত এক দেড় দশকে কর্পোরেট দুনিয়ায় মহিলাদের যোগদান, দায়িত্ব পুরুষদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে। ফলে কাজের চাপ, মানসিক চাপ, সাংসারিক দায়িত্বের চাপ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে মহিলাদের। তাই সাম্প্রতিককালে কার্ডিওভাসকুলার রোগে মহিলারাও আগের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।”

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement