শিয়া মাখন ত্বক, চুল এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। শিয়া বাটারে উপস্থিত বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে, এটি প্রসাধনী সামগ্রী থেকে শুরু করে আরও অনেক জিনিসে ব্যবহৃত হয়। এটি দিয়ে কার্যত চিরকাল তারুণ্য বজায় রাখা যায়। পাশাপাশি অকালে মুখের বলিরেখার আশঙ্কায় আর থাকে না। প্রথমেই জেনে নেওয়া দরকার সিয়া বাটার কী এবং এটি সাধারণ মাখনের থেকে কীভাবে আলাদা?
শিয়া গাছের বীজ থেকে যে মাখন বের করা হয় তাকে শিয়া বাটার বলে। শিয়া একটি আফ্রিকান গাছ যার বীজে চর্বি থাকে। এই চর্বি বের করেই শিয়া মাখন তৈরি করা হয়। এতে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন থাকে। শিয়া বাটার ত্বককে উজ্জ্বল করে। এতে থাকা ভিটামিন এ, ই এবং এফ ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন এ সুস্থ ত্বক বজায় রাখতে সাহায্য করে। তিনটি ভিটামিনই মুখের বলিরেখা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং ভিটামিন এফ শুষ্ক, ফাটা বা রুক্ষ ত্বককে প্রশমিত ও নিরাময় করে।
ময়শ্চারাইজিং
শিয়া বাটার ত্বকের কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। সুতরাং ত্বক যদি শুষ্ক ও নিস্তেজ হয় তাহলে যত্ন নিতে শিয়া বাটার ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।
হাইড্রেটিং
শিয়া বাটার চুল এবং মাথার ত্বকের জন্য অত্যন্ত হাইড্রেটিং। যাঁদের কোঁকড়ানো বা মোটা চুল তাঁরা আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং চুল মসৃণ করতে শিয়া বাটার ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যান্টি এজিং
ভিটামিন এ এবং ই শুধুমাত্র ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে না বরং সেটিকে নবীন এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে। শিয়া মাখন কোষকে পুনরুত্থিত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বলিরেখাও কমিয়ে দেয়। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে শিয়া মাখন কোষকে রিজেনারেট করতে সাহায্য করে। বার্ধক্যের লক্ষণগুলি হ্রাস করে এবং কোলাজেনের মাত্রা বাড়ায়।
চুল ভাঙা আটকায়
এতে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা চুলে তেল প্রবেশ করা সহজ করে এবং চুল ভাঙা রোধ করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন - চাকরি থেকে ব্যবসা, ঘুমন্ত ভাগ্য জেগে উঠবে এই এক পাথরেই