Advertisement

Side Effects of Makeup: রোজ না জেনেই অতিরিক্ত মেকআপ করেন? কত বড় ক্ষতি ডেকে আনছেন জানুন...

Side Effects of Makeup: শুরু হয়ে গেছে উৎসবের মরসুম। আর যে কোনও উৎসব মানেই সাজগোজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেরই দুর্গাপুজোর রোজ, দু'বেলা অতিরিক্ত মেকআপ করার প্রবণতা থাকে।

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 13 Sep 2022,
  • अपडेटेड 5:38 PM IST

সাজসজ্জা, রূপটান করতে খুব ভালোবাসেন? মেকআপ ছাড়া একদিনও কল্পনা করতে পারেন না? তবে জানেন কি, রোজ অত্যাধিক মাত্রায় মেকআপ ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। মেকআপে প্রচুর রাসায়নিক পদার্থ এবং এমন কিছু উপাদান থাকে যা, আপনার নির্দিষ্ট ত্বকের ধরণের সঙ্গে মানানসই নাও হতে পারে এবং এর ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। 

শুরু হয়ে গেছে উৎসবের মরসুম। আর যে কোনও উৎসব মানেই সাজগোজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেরই দুর্গাপুজোর রোজ, দু'বেলা অতিরিক্ত মেকআপ করার প্রবণতা থাকে। প্রতিদিনের মেকআপ ব্যবহার করলে, তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এমনকি এর ফলে ত্বকের জ্বালা, চুলকানি এবং কখনও কখনও অসময়ে বার্ধক্যের কারণ হতে পারে। 

 

এর মানে এই নয় যে, আপনি মেকআপ ব্যবহার করতে পারবেন না। আপনি যদি কিছু স্বাস্থ্যকর ও ত্বক-বান্ধব মেকআপ ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে কম ক্ষতি হতে পারে ত্বকের। আসুন জানা যাক নিয়মিত অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার করলে, আপনার ত্বকের কী কী সমস্যা হতে পারে।  

* আপনি যদি নিয়মিত অতিরিক্ত মেকআপ করেন এবং সেটি আপনার ত্বকে দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকে, তবে আপনার ত্বকের ছিদ্র অর্থাৎ লোমকূপ আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে আপনার ত্বককে শ্বাস নিতে দেয় না। ব্রণ, ফুসকুড়ি সহ অন্যান্য ত্বকের সমস্যা হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। 

আরও পড়ুন:  রোজ ১ টা মোসম্বি লেবু খেলেই মিলবে নানা রোগ থেকে মুক্তি! জানুন কী কী উপকারিতা

* ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল সূর্যের ট্যান থেকে রক্ষা করা। মেকআপ করার আগে আপনি যদি সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলে যান, সেক্ষেত্রে ত্বকে সূর্যের রশ্মির ফলে ক্ষতি হতে পারে। সেই ত্বকে দীর্ঘ সময়ের জন্য মেকআপ রেখে দেওয়ার ফলে বলিরেখা, সূক্ষ্ম রেখা এবং বয়সের দাগের মতো অকাল বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও, আপনি যখন ঘুমানোর আগে যদি মেকআপ না তোলেন, তখন এটি আপনার লোমকূপে প্রবেশ করতে পারে। ইলাস্টিন ভেঙে যেতে পারে এবং বলিরেখা তৈরি করতে পারে।

Advertisement

 

* যে মেকআপ পণ্যগুলি আপনার ত্বকের ধরণ অনুসারে নয়, সেগুলি আপনার ত্বককে শুষ্ক বা তৈলাক্ত করে তুলতে পারে। শুষ্ক ত্বকের লোকেরা চরম শুষ্কতা অনুভব করতে পারে। যদি তারা এমন মেকআপ ব্যবহার করে যা, তাদের ত্বকের ধরণের জন্য সঠিক নয়। একইভাবে যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তারা ভুল পণ্য ব্যবহার করার ফরে স্বাভাবিকের তুলনায় ত্বক খুব বেশি তেল উৎপাদন করতে পারে।

* হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, কিছু ওষুধ, অনুপযুক্ত খাদ্য ইত্যাদির কারণে ত্বকের ব্রেকআউট সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে মেকআপ নিয়মিত অতিরিক্ত মাত্রায় এবং না জেনে ব্যবহার করলে, তা আপনার দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিতে পারে। ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, যাদের ব্রণ-প্রবণ ত্বক রয়েছে তাদের মেকআপ ব্যবহার সীমিত করা উচিত। কম মেকআপ প্রয়োগ করা আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং ব্ল্যাকহেডসও কমাতে পারে।

আরও পড়ুন:  ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি থেকে শুষ্কতা দূর করতে দারুণ উপকারি বেসন! জানুন উপকারিতা...

* হালকা উপাদান দিয়ে তৈরি পণ্য আপনার ত্বকের ক্ষতি করে না। তবে প্যারাবেন এবং এসএলইএসের মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিকযুক্ত পণ্যগুলি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। আপনি যদি কিছু উপাদান থেকে অ্যালার্জি হয়, এর ফলে আপনার ত্বকে চুলকানি এবং অস্বস্তি হতে পারে। 

 

* প্রতিদিন মেকআপ পরার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। কিন্তু রাতে মেকআপ করে ঘুমালে আপনার ত্বকের অনেক ক্ষতি হতে পারে। দূষণ এবং সূর্যের কারণে তৈরি, ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলি আপনার ত্বককে দুর্বল করে কোলাজেনকে প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে আপনার ত্বকের রঙ পরিবর্তন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যখন দীর্ঘস্থায়ী লিপস্টিক ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পরা হয়, তখন এটি আপনার ঠোঁটের রঙকে কালো করে দেয়। কারণ এতে এমন উপাদান রয়েছে যা, আপনার ঠোঁটে অক্সিজেন সরবরাহে বাঁধা দেয়।

* আপনার চোখের চারপাশ, চোখের পাতা পাতলা ও সূক্ষ্ম। এখানে ফাউন্ডেশন, কনসিলার, আইশ্যাডো, আইলাইনার এবং মাস্কারার মতো মেকআপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চোখের মেকআপের ফলে, যে কোনও ধরনের সমস্যা আপনার চোখের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এমনকি এর ফলে চোখের সংক্রমণও হতে পারে।

আরও পড়ুন:   ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে জাদুকরী গোলাপ জল, জানুন ঘরোয়া প্রতিকার

সব শেষে বলা যায়, আপনি যে মেকআপ ব্যবহার করছেন তা আপনার ত্বককে কীভাবে প্রভাবিত করছে তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনও সামগ্রী অনেক বেশি পরিমাণে ব্যবহার করার আগে সব সময় তা হাতে অল্প পরিমাণে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আপনি যদি কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হন, তবে অবশ্যই গাফিলতি না করে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন। 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement