
বিয়ের দিনকে ঘিরে প্রতিটি কনেরই স্বপ্ন থাকে উজ্জ্বল, নিখুঁত ও দীপ্তিময় ত্বক পাওয়ার। সেই লক্ষ্যে অনেকেই বিউটি পার্লার থেকে শুরু করে ব্যয়বহুল স্কিনকেয়ার ট্রিটমেন্ট পর্যন্ত নেন। কিন্তু চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ভুল সময়ে ভুল যত্ন ত্বকের ক্ষতি করতে পারে, যার ফল বিয়ের দিনেই পড়তে পারে মুখে।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ তনুশ্রী বিশ্বাস জানিয়েছেন, হবু কনেদের ত্বক সুন্দর রাখতে হলে বিয়ের আগে কিছু সাধারণ কিন্তু গুরুতর ভুল একেবারেই করা উচিত নয়। নিচে রয়েছে সেই ১০টি ভুল এবং তার প্রভাব-
১. নতুন স্কিনকেয়ার পণ্য ব্যবহার করা
বিয়ের ঠিক আগে নতুন ক্রিম, সিরাম বা ট্রিটমেন্ট শুরু করা বিপজ্জনক হতে পারে। এতে অ্যালার্জি, ব্রণ বা জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিয়ের অন্তত এক মাস আগে থেকেই শুধুমাত্র পরিচিত ও মানানসই পণ্য ব্যবহার করা উচিত।
২. অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েশন
ত্বক উজ্জ্বল করতে স্ক্রাব করা জরুরি, কিন্তু অতিরিক্ত ঘষা বা রাসায়নিক পিল ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক ও সংবেদনশীল হয়ে যায়। বিয়ের আগে সপ্তাহে একবারের বেশি এক্সফোলিয়েশন না করাই শ্রেয়।
৩. সানস্ক্রিন না ব্যবহার করা
অনেকে ভাবেন ঘরে থাকলে সানস্ক্রিনের দরকার নেই-এটাই সবচেয়ে বড় ভুল। সূর্যালোক ও আলো-তাপের সংস্পর্শ ত্বকে ট্যান ও পিগমেন্টেশন তৈরি করে। তাই প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার আবশ্যক।
৪. মেকআপ না তুলে ঘুমানো
ঘুমের আগে মেকআপ না তোলার অভ্যাস ছিদ্র বন্ধ করে দেয় এবং ব্রণের কারণ হয়। ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগানো জরুরি।
৫. বারবার মুখে হাত দেওয়া
হাতের ব্যাকটেরিয়া মুখে স্থানান্তরিত হলে ত্বকে ব্রণ ও সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তাই মুখ স্পর্শ করা কমানো উচিত।
৬. সুগন্ধযুক্ত পণ্য ব্যবহার
সুগন্ধি উপাদানযুক্ত স্কিনকেয়ার বা হেয়ার প্রোডাক্ট অনেক সময় ত্বককে জ্বালাতন করে। বিয়ের আগে পারফিউমবিহীন (fragrance-free) পণ্যই সেরা পছন্দ।
৭. ব্রণ চেপে ফেলা
ব্রণ চেপে ফেললে স্থায়ী দাগ বা সংক্রমণ হতে পারে। তাই শান্তভাবে চিকিৎসার মাধ্যমে তা সেরে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৮. দেরিতে ত্বকের যত্ন শুরু করা
ত্বকের উন্নতি হঠাৎ হয় না। বিয়ের অন্তত তিন থেকে ছয় মাস আগে থেকেই নিয়মিত রুটিন শুরু করতে হবে। এতে পিগমেন্টেশন, নিস্তেজতা বা ব্রণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
৯. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
ঘুমের অভাবে চোখের নিচে কালচে দাগ ও ত্বকে ক্লান্ত ভাব আসে। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ও প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।
১০. ইন্টারনেটের ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার
অনলাইনে দেখা প্রতিটি DIY প্রতিকার সবার জন্য নিরাপদ নয়। লেবু, টুথপেস্ট বা বেকিং সোডার মতো উপাদান ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।