What is sleep paralysis : স্লিপ প্যারালাইসিস এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তির শরীর কিছু সময়ের জন্য অবশ হয়ে যায়, সাধারণত এই অবস্থাটি ঘটে যখন একজন ব্যক্তি ঘুমোচ্ছেন বা জেগে ওঠার সময়। এই অবস্থায়, ব্যক্তি চাইলেও তার শরীরকে নড়াচড়া করতে পারে না, তবে কিছু সময় পরে এটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে যায়। চলতি বাংলায় এই অবস্থাকে বলা হয় বোবায় ধরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয় যখন স্লিপ প্যারালাইসিসের সময় হ্যালুসিনেশন এবং উদ্বেগ একসঙ্গে কার্যকর হয়, তখন ব্যক্তি সম্পূর্ণ মৃত অবস্থায় চলে যায়। স্লিপ প্যারালাইসিস সাধারণত তরুণদের মধ্যে দেখা যায়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে ২৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে, যেখানে পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই স্লিপ প্যারালাইসিসের মতো সমস্যা দেখা গেছে, এই রোগটিতে জনসংখ্যার প্রায় ৬% মানুষ ভুগছেন।
স্লিপ প্যারালাইসিস কোন অবস্থায় হয়?
স্লিপ প্যারালাইসিস সমস্যা একটি মস্তিষ্কের রোগ এবং একজন ব্যক্তি যখন মানসিক চাপে থাকে, তখনই কেবল এই রোগটিকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়, যদিও এই রোগটি তিনটি অবস্থায় দেখা দেয়। প্রথমত, যখন একজন ব্যক্তি ঘুমনোর চেষ্টা করেন, তখন ঘুমের প্রাথমিক পর্যায়ে স্লিপ প্যারালাইসিসের সমস্যা হতে পারে। দ্বিতীয় পরিস্থিতি দেখা দেয় যখন একজন ব্যক্তি গভীর ঘুমে থাকে এবং তারপর হঠাৎ করে জেগে ওঠে। তৃতীয় পরিস্থিতিতে, এটি ঘটে যখন একজন ব্যক্তি অতিরিক্ত কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়ে।
স্লিপ প্যারালাইসিস কেন হয়?
এমনটা হওয়ার প্রধান কারণ হলো নেতিবাচক চিন্তায় নিমজ্জিত হওয়া। মানুষ হতাশায় থাকলে এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এমতাবস্থায় মানুষ ভয়-আতঙ্কের পরিবেশে জীবনযাপন শুরু করে। এর ফলে স্লিপ প্যারালাইসিস হতে থাকে। এটি আপনার লাইফস্টাইলের উন্নতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
স্লিপ প্যারালাইসিসের লক্ষণ
স্লিপ প্যারালাইসিস এড়ানোর উপায়
১. নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
২. পিঠে চাপ দিয়ে ঘুমোবেন না।
৩. আপনার ঘুমের প্যাটার্ন উন্নত করুন।
৪. প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমোন এবং একই সময়ে ঘুমনোর চেষ্টা করুন।
৫. ঘুমনোর আগে নিজেকে পুরোপুরি রিলাক্স করুন।
৬. কোনো ওষুধ খাওয়ার পর যদি আপনার এই সমস্যা হয়, তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে হবে।