ভাল খাবার ও পানীয়ের পাশাপাশি আপনার ভাল ঘুম হওয়াটাও খুব জরুরি। ঘুমের অভাবে একদিকে যেমন মানুষের স্বভাবের ওপর প্রভাব পড়ে, অন্যদিকে তাঁর স্বাস্থ্যেও খারাপ প্রভাব পড়ে।
এই অবস্থায় সুস্থ জীবনযাপনের জন্য একজন মানুষের ভাল পুষ্টির পাশাপাশি ভাল ঘুমের প্রয়োজন। ঘুম শুধু শারীরিকই নয়, মানসিক চাহিদাও বটে।
অনেকেই আছেন যারা ঘুমাতে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু কেউ কেউ আছেন যাঁদের ঘুম না হওয়া, অস্থিরতার মতো সমস্যা রয়েছে। এ ধরনের মানুষ ঘুমাতে চান। কিন্তু কোনও কারণে তাদের ঘুম পূর্ণ হয় না বা তাঁরা শান্তিতে ঘুমাতে পারে না। খারাপ ঘুমের অনেক কারণ থাকতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রথমেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। যদি ডাক্তার আপনাকে আশ্বস্ত করেন যে আপনার কোনও গুরুতর অসুস্থতা নেই, তবে অবশ্যই এর কারণ হবে আপনার লাইফস্টাইল বা জীবনধারা।
আজকের ব্যস্ত লাইফস্টাইলে সুস্থ থাকা একটি চ্যালেঞ্জের চেয়ে কম নয় এবং আপনি যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, তবে এটা পরবর্তীতে আপনার জন্য একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, এই কয়েকটি জিনিস আপনাকে ভাল ঘুমাতে সাহায্য করবে:
১. চেরি
চেরি মেলাটোনিনে সমৃদ্ধ। যা শরীরের অভ্যন্তরীণ চক্র নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঘুমানোর আগে এক মুঠো চেরি খাওয়া ভাল ঘুমের সহায়ক। চেরির রস বা জুসও খাওয়া যেতে পারে। যদি তাজা চেরি পাওয়া না যায়, তবে ফ্রিজে রাখা চেরিও উপকারী প্রমাণিত হবে।
২. দুধ
রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। দুধে উপস্থিত ট্রিপটোফ্যান এবং সেরোটোনিন ভাল ঘুম পেতে সহায়ক। এ ছাড়াও দুধ ক্যালসিয়ামের একটি ভাল উৎস। দুধ মানসিক চাপ দূর করতেও সাহায্য করে।
৩. কলা
কলায় এমন উপাদান পাওয়া যায় যা পেশীর টান দূর করে। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম ভাল ঘুমের উন্নতি ঘটায়। এটি ভিটামিন বি ৬-এর একটি ভাল উৎস, যা ঘুমের সঙ্গে যুক্ত হরমোন নিঃসরণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
৪. বাদাম
কলার মতো বাদামও ম্যাগনেসিয়ামের খুব ভাল উৎস। এটি ঘুমের উন্নতির পাশাপাশি পেশীতে টান এবং টান কমায়। যার কারণে শান্তিতে ঘুমানো সহজ হয়ে যায়।
৫. হার্বাল টি বা ভেষজ চা
ভাল ঘুমের জন্য ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলাই ভাল। তবে আপনি যদি রাতে ঘুমানোর আগে ভেষজ চা পান করেন, তাহলে আপনি নিজের জন্য ভাল ঘুমের ব্যবস্থা করেন।
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস: