বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে একজন ব্যক্তিকে তার প্রকৃত বয়সের চেয়ে বয়স্ক দেখাতে শুরু করে অনেক ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এটি ঠিক করতে মানুষ তাদের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনে। তবে এতে ঘুমের রুটিন সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। আর এই দিকেই মানুষ সবচেয়ে কম মনোযোগ দেয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ঘুম সংক্রান্ত কোন ভুলগুলি যা একজন মানুষকে দ্রুত বার্ধক্য করতে পারে।
বালিশে লুকিয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া
যে বালিশে ঘুমাচ্ছেন, সেই বালিশে কত ব্যাকটেরিয়া লুকিয়ে থাকে জানেন কি? ব্যাকটেরিয়া, ঘাম, মেকআপ, মৃত ত্বকের কোষ, কোনও বিউটি বা স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট, ইত্যাদি নানা জিনিস বালিশে থাকে। ২০১১ সালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, একটি বালিশে ৩.৫ লক্ষেরও বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। তাই ঘুমানোর আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার বালিশ যেন খুব পরিষ্কার থাকে।
বালিশ কভার
অনেকে সিল্কের তৈরি বালিশের কভার পছন্দ করেন। এর পৃষ্ঠটি খুব আরামদায়ক। রাতে ঘুমানোর সময় আমরা যখন দিক পরিবর্তন করি, তখন ত্বকে চাপ বা বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনাও কম থাকে। সিল্কের কাপড়ও আপনার মুখের ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয় না। সিল্কে অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা, কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে।
নাইট ক্রিম ব্যবহার
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই নাইট ক্রিম দিয়ে মিনিট দু'য়েক ফেসিয়াল ম্যাসাজ করবেন। এর জন্য ময়েশ্চারাইজার বা ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এর ক্রমাগত ব্যবহারে মুখের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে এবং আপনাকে আরও তরুণ দেখাবে।
পর্যাপ্ত ঘুম
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, প্রত্যেক ব্যক্তিকে কমপক্ষে ৮-৯ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। এটি শুধু আপনার ত্বকের জন্যই ভাল নয়, এটি শরীরকে সতেজ রাখতে অনুভব করবে। বার্ধক্যজনিত সমস্যা এড়াতে প্রচুর জল পান করুন এবং খাদ্য তালিকায় সবুজ শাক সবজি ও ফলমূল অন্তর্ভুক্ত করুন।
ঘুমানোর অবস্থান
আপনি কোন সময়ে ঘুমান এটা কোন ব্যাপার না। কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার পর যদি আপনি ত্বকে ফোলাভাব অনুভব করেন, তাহলে আপনাকে ঘুমানোর অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমানোর সময় শরীরের অনুভূমিক অবস্থান তরল বন্টনের ভারসাম্যকে উপরের পিঠের দিকে ঠেলে দেয়। এটি আমাদের মুখের টিস্যুকে প্রসারিত করে এবং তাই আমরা ত্বকে প্রসারিত বা ফোলাভাব অনুভব করি। তাই বিশেষজ্ঞরা আপনার পিঠে সোজা হয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেন।