Advertisement

Smiling Depression : একটুতেই অতিরিক্ত হাসি, গভীর ডিপ্রেশন নয় তো? লক্ষণ ভাল নয়

চিকিৎসক সমীর মালহোত্রা জানাচ্ছেন যে, স্মাইলিং ডিপ্রেশান অন্যান্য ধরনের অবসাদের থেকে অনেকটাই আলাদা। তাই এটি সনাক্ত করা কিছুটা কঠিন। তবে এর তিনটি প্রধান বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথমত, মনে দুঃখ, কোনও কাজে আগ্রহ না থাকা এবং দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া। অর্থাৎ, আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনে অনেক কিছু করছেন, কিন্তু কোথাও যেন আপনি সেই কাজগুলিতে আগ্রহী নন। এছাড়া সর্বদা ক্লান্ত বোধ করা এবং বেশিরভাগ কাজই মাঝ পথে ছেড়ে দেওয়া। যদি সবসময় মাথাব্যথা বা শরীর যন্ত্রণা থাকে, তাহলে অবশ্যই বিষয়টিতে গুরুত্ব দিন।

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 27 Apr 2023,
  • अपडेटेड 4:15 PM IST
  • হাসিখুশি মানুষও অবসাদের স্বীকার হতে পারেন
  • একে বলা হয় স্মাইলিং ডিপ্রাশান
  • জেনে নিন উপসর্গ ও সেরে ওঠার উপায়

কেউ চুপচাপ থাকলে, বা মানসিক কোনও কষ্টে থাকলে অনেক সময় বলা হয় যে ওই ব্যক্তি মানসিক অবসাদে রয়েছেন। তবে অনেক সময় মানুষ হাসিখুশি থাকলেও মানসিক অবসানে ভোগেন। আর এটিকে বলা হয় Smiling Depression। 

স্মাইলিং ডিপ্রেশানের লক্ষণ
এই বিষয়ে চিকিৎসক সমীর মালহোত্রা জানাচ্ছেন যে, স্মাইলিং ডিপ্রেশান অন্যান্য ধরনের অবসাদের থেকে অনেকটাই আলাদা। তাই এটি সনাক্ত করা কিছুটা কঠিন। তবে এর তিনটি প্রধান বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথমত, মনে দুঃখ, কোনও কাজে আগ্রহ না থাকা এবং দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া। অর্থাৎ, আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনে অনেক কিছু করছেন, কিন্তু কোথাও যেন আপনি সেই কাজগুলিতে আগ্রহী নন। এছাড়া সর্বদা ক্লান্ত বোধ করা এবং বেশিরভাগ কাজই মাঝ পথে ছেড়ে দেওয়া। যদি সবসময় মাথাব্যথা বা শরীর যন্ত্রণা থাকে, তাহলে অবশ্যই বিষয়টিতে গুরুত্ব দিন।

ডিপ্রেশানে আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে আমরা নিজেকে অন্য মানুষের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেন। ফলে ডিপ্রেশানে আক্রান্ত ব্যক্তি ধরে নিতে শুরু করেন যে তিনি তাঁর চারপাশের মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। এরপর খারাপ সময়কে নিজের ভাল সময়ের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেন, এবং নিজের মধ্যেই গুমড়োতে থাকেন। নিজের করা প্রতিটি কাজ অন্যদের তুলনায় কম এবং খারাপ বলে মনে হয়। এমন পরিস্থিতিতে, অবশ্যই পারিপার্শ্বিক মানুষদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। নিজের মধ্যে বিশ্বাস আনতে শুরু করুন যে সবকিছু ভাল হতে পারে। 

প্রতীকী ছবি

স্বীকার করলে তবেই সুস্থ হতে পারবেন
অনেক মানুষ আছেন যাঁদের কাছে নিজেদের ইমেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাঁরা চান না যে মানুষ বুঝুক তাঁরা দুর্বল এবং তাঁদের সহানুভূতি প্রয়োজন। এই কারণে তাঁরা মন খারাপ হলেও ওপরে হাসতে থাকেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, হাস্যোজ্জ্বল মুখের আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিষণ্ণতার সবচেয়ে বড় কারণ হল আমরা দুর্বল হতে পারি, কিন্তু এটা আমরা মেনে নিতে চাই না। আমাদের আশেপাশের মানুষ বা আমাদের বন্ধুরা কী ভাববে বা বলবে সেই ভেবে আমরা  মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখতে ভয় পাই এবং আত্মহত্যাকে প্রতিটি সমস্যার সমাধান হিসাবে বিবেচনা করতে শুরু করি।

Advertisement

যাঁরা ডিপ্রেশান স্বীকার করেন না, এমনকি অন্য মানুষের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনাও করতে চান না, বিষন্নতা তাঁদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক। এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তি আত্মহত্যার কথা ভাবতে শুরু করেন। কারণ ডিপ্রাশানে আক্রান্ত ব্যক্তি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে কেউ তাঁকে সাহায্য করতে পারবে না।

ডিপ্রেশানের নিরাময় আছে
আমরা প্রায়ই বুঝতে পারি না যে ডিপ্রেশান নির্ণয়ের পর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? প্রথমেই স্বীকার করার সাহস জোগাড় করুন যে আপনি বিষণ্ণতায় ভুগছেন এবং আপনার একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন। এর পরে, আপনি যাঁদের সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করেন তাঁদের সঙ্গে মনের অবস্থা সম্পর্কে কথা বলুন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা আপনার তথ্য গোপন রেখে আপনাকে সাহায্য করবেন এবং চিকিৎসা করবেন। এটির অনেক থেরাপি এবং ওষুধ রয়েছে, যা বিষন্নতার অবসান ঘটায়।
 

আরও পড়ুন - প্রচুর নিয়োগ করছে এই সরকারি ব্যাঙ্ক, কীভাবে আবেদন-শেষ তারিখ

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement