Advertisement

Snoring: নাক ডাকা বন্ধ করার উপায় কী? রইল ঘরোয়া সমাধান

Snoring Remedies: গলার শিথিল টিস্যুগুলির মধ্য দিয়ে বায়ু প্রবাহিত হলে, শ্বাস নেওয়ার সময় টিস্যুগুলি কম্পিত হয়। সেই সময় নাক নিয়ে বিকট শব্দ বের হয়। তবে কখনও কখনও এটি কিছু গুরুতর সমস্যার লক্ষণও হতে পারে।

প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 05 Dec 2023,
  • अपडेटेड 6:12 PM IST

Home Remedies For Snoring: রাতভর ট্রেনের জার্নি কিংবা অনুষ্ঠান বাড়িতে একসঙ্গে থাকা, সবে মাত্র ভাবছেন ঘুমোবেন... হঠাৎই দূর কিংবা পাশে থেকে ভেসে আসা কর্কশ শব্দে ঘুম চটকে গেল। ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এমন একটা সমস্যা, যার জেরে সম্পর্কে ফাটল ধরার কথা পর্যন্ত শোনা যায়। সবচেয়ে বড় সমস্যার বিষয় হল, যিনি নাক ডাকছেন, তিনি অজান্তেই এই কাজ করে থাকেন। ফলে বহুক্ষেত্রে বিষয়টি লজ্জার হয়ে দাঁড়ায়।    
 
আসলে গলার শিথিল টিস্যুগুলির মধ্য দিয়ে বায়ু প্রবাহিত হলে, শ্বাস নেওয়ার সময় টিস্যুগুলি কম্পিত হয়। সেই সময় নাক নিয়ে বিকট শব্দ বের হয়। তবে কখনও কখনও এটি কিছু গুরুতর সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। জীবনযাত্রা পরিবর্তন হলে নাক ডাকা বন্ধ হয়। কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি নাক ডাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

নাক ডাকার কারণ

নাক ডাকা সাধারণভাবে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (OSA) নামক একটি ঘুমের ব্যাধির সঙ্গে যুক্ত। তবে খেয়াল রাখতে হবে, সব নাক ডাকা OSA নয়। OSA-র জন্যে জোরে নাক ডাকা বা হাঁসফাঁস শব্দে জেগে উঠতে পারেন।

আরও পড়ুন

OSA-র উপসর্গ কী কী? 

ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম, রাতে বুকে ব্যথা, রাতে হাঁপানো বা দম বন্ধ হয়ে আসা, ঘুম থেকে উঠেই গলা ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, জোরে নাক ডাকা- ইত্যাদি অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার উপসর্গ। এর মধ্যে কোনও উপসর্গ আপনারও থাকলে, অবশ্যই পরামর্শ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে। 
 
জীবনধারা পরিবর্তন

নাক ডাকার চিকিৎসার জন্য, জীবনধারা পরিবর্তন করা জরুরি। যেমন- ওজন  কমানো, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা- বিশেষত ঘুমের ঠিক আগে, বন্ধ নাকের  চিকিৎসা, এক পাশে ফিরে ঘুমানো এই সব দিকগুলি মাথায় রাখলে, নাক ডাকা এড়ানো যায়। 

এক পাশে ফিরে ঘুমানো 

পিঠের উপর ভর দিয়ে ঘুমালে, কখনও কখনও জিভ গলার পিছনে চলে যায়। যার ফলে গলা দিয়ে বাতাসের প্রবাহ আংশিকভাবে অবরুদ্ধ করে। বাতাসকে আরও সহজে প্রবাহিত করতে এবং আপনার নাক ডাকা কমাতে বা বন্ধ করতে এক পাশে ফিরে ঘুমাতে হবে।

Advertisement

পর্যাপ্ত ঘুম

আমেরিকান একাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিন এবং স্লিপ রিসার্চ সোসাইটি অনুসারে, প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। তা না হলে পরের রাতে নাক ডাকার সমস্যা ভুগতে হতে পারে। আসলে, ঘুমের অভাব আপনার নাক ডাকার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি কারণ এটি আপনার গলার পেশীগুলিকে শিথিল করতে পারে, যার ফলে আপনার শ্বাসনালীতে বাধা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নাক ডাকা আপনার ঘুম বঞ্চনার ঝুঁকি বাড়াতে পারে কারণ এটি ঘুমকে ব্যাহত করে।

নেসাল স্ট্রিপের ব্যবহার 

নিঃশ্বাস নিতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, এজন্যে অনুনাসিক প্যাসেজে স্থান বাড়াতে সাহায্য করতে পারে স্টিক-অন নেসাল স্ট্রিপ। এটি শ্বাস- প্রশ্বাস কার্যকর করতে পারে এবং আপনার নাক ডাকা কমাতে বা দূর করতে পারে।

ধূমপান বন্ধ

ধূমপান একটি অভ্যাস যা, নাক ডাকা আরও বাড়াতে পারে। ২০১৪ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, নাক ডাকার একটি সম্ভাব্য কারণ হল ধূমপান। যা,  OSA-র ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে অবস্থা আরও খারাপ  হতে পারে। ধূমপান থেকে দূরে থাকাই ভাল।


 

TAGS:
Read more!
Advertisement
Advertisement