Advertisement

ধর্মীয় পর্যটনে সার্কিটের মাধ্যমে আলাদা পথ খুঁজছে রাজ্য

ধর্মীয় স্থানের প্রতি মানুষের টান বরাবরের। তার সঙ্গে সেটি যদি হয় ঐতিহাসিক। তাহলে তো কথাই নেই। তার আকর্ষণ রয়েছে বরাবর। সেই জায়গা থেকেই পর্যটন সার্কিটে যুক্ত করতে এগিয়ে এল রাজ্য।

ধর্মীয় টুরিজমধর্মীয় টুরিজম
Aajtak Bangla
  • 16 Sep 2021,
  • अपडेटेड 8:59 AM IST
  • উত্তরের বিভিন্ন জেলার ধর্মীয় স্থানগুলিকে ঘিরে পর্যটন ভাবনা
  • জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং
  • পর্যটনে নতুন পথ দেখা যাবে বলে আশাবাদী

পুজোর বাকি আর কটা দিন। তার মধ্যেই নানা উদ্যোগ শুরু হয়েছে। পুজোকে কেন্দ্র করে কিংবা পুজোকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা তৎপরতা। ব্যক্তিগত স্তরে যেমন, সরকারি স্তরেও তেমনই উদ্যোগকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা ব্যস্ততা।

ধর্মীয় পর্যটন সার্কিট

পুজোর আগেই বিভিন্ন রকম ধর্মীয় ও পবিত্র জায়গাগুলিকে পর্যটনের অন্তর্ভুক্ত করতে রিলিজিয়াস ট্যুরিজম সার্কিট গড়ে তোলার প্রস্তাব পেশ হল। প্রস্তাব গিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন প্রাচীন-ধর্মীয় ঐতিহ্যশালী জায়গাকে এই রিলিজিয়াস ট্যুরিজম সার্কিট এর মধ্যে আনার।

আরও পড়ুন

চার জেলাকে জুড়ে দিতে চায় পর্যটন

তবে রাজ্য সরকারের তরফে জলপাইগুড়ির সঙ্গে দার্জিলিং এবং কোচবিহারের ও আলিপুরদুয়ারের বেশকিছু সার্কিট এর মধ্যে জুড়ে দিতে চান। এর আগে গৌতম দেব পর্যটন মন্ত্রী থাকার সময়ে তা নিয়ে একবার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে দিনের আলো দেখেনি। এবার যদি সেই সার্কিট গড়ে তোলা যায় তাহলে তা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে।

উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থাগম

এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন যেমন করবে, তেমনই প্রচুর মানুষ ইতিহাস ও ধর্ম মিলেমিশে যে তার আস্বাদ নিতে পারবেন, বিভিন্ন মন্দির-মসজিদ-গির্জা-বৌদ্ধ মন্দির, লোকায়ত মন্দিরকে সার্কিট এর মধ্যে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের তরফে প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে

জলপাইগুড়ি জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছেন, পর্যটক টানতে কি কি পরিকল্পনা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে একটা খসড়া পেশ করতে বলা হয়েছে। যেমন ময়নাগুড়ির জল্পেশ, বটেশ্বর, পেটকাটি কালীমন্দির, ময়নামাতা কালীবাড়ি, গরুমারা জাতীয় উদ্যান এর রামসাই এলাকা, বোদাগঞ্জ, বনদুর্গা মানিকগঞ্জের গর্তেশ্বরী, গর্ভেশ্বরী, জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন মন্দির প্রাচীন গির্জার গুম্ফা মসজিদ, ভ্রামরী দেবীর মন্দির, দেবী চৌধুরানী মন্দির সহ আরও বহু মন্দির ও ধর্মীয় স্থান রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়।

অন্য জেলার  উল্লেখযোগ্য স্থানগুলি

জেলার বাইরে কোচবিহারকেও যদি যুক্ত করা যায়, তাহলে গোসানীমারি, দিনহাটা, কোচবিহারে কামতেশ্বরী মন্দির, মদনমোহন মন্দির, বাণেশ্বর শিবমন্দির, আলিপুরদুয়ারে বক্সা, জয়ন্তীর বিভিন্ন মন্দির, দার্জিলিং জেলার সেবকশ্বরী মন্দির, সেই সঙ্গে কার্শিয়ং, দার্জিলিং, মিরিকের পশুপতি মন্দিরকে এক সার্কিটে বাঁধতে পারলে পর্যটনের বিকল্প রূট তৈরি করা যাবে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement