Advertisement

Anger Control: বয়স বাড়লে খিটখিটে হয় মেজাজ, কেন এত রাগেন মেয়েরা?

Anger Control: ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের রাগ নাকি একটু বেশি। কথায় কথায় নাকি মেয়েরা খুব রেগে যান। রাগের মাথায় ভুলভাল কাজকর্ম অথবা কাউকে খারাপ কিছু বলার পর নিজেরাই পরে পস্তান।

মেয়েরা কীভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করবেন?মেয়েরা কীভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করবেন?
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 21 Jul 2025,
  • अपडेटेड 3:50 PM IST
  • ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের রাগ নাকি একটু বেশি।

ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের রাগ নাকি একটু বেশি। কথায় কথায় নাকি মেয়েরা খুব রেগে যান। রাগের মাথায় ভুলভাল কাজকর্ম অথবা কাউকে খারাপ কিছু বলার পর নিজেরাই পরে পস্তান। এই রাগের চোটেই কি আপনার বহু কাজ ঘেঁটেছে? বন্ধুবিচ্ছেদও হয়েছে? বারোটা বেজেছে শরীরেরও? তা হলে এ বার একটু সতর্ক হোন। রাগ করে নিজের রক্তচাপ রকেটের গতিতে না বাড়িয়ে বরং তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিখুন।

মেয়েদের রাগ বেশি
মেয়েদের রাগ একটু বেশিই হয়, এমনটাই বলছে গবেষণা। গবেষকদের মতে, মহিলাদের রাগ হয় কথায় কথায়। বয়স যত বাড়ে, অনেকেরই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। বিশেষ করে মেনোপজ পর্বে ইস্ট্রোজেন হরমোন এমন ওঠানামা করে যে, মনমেজাজের গতিপ্রকৃতিই বদলে যায়। কারও অস্থিরতা বাড়ে, কেউ পান থেকে চুন খসলেই রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে যান। এর পিছনে হরমোনের কারসাজিই থাকে।

পরিস্থিতি রাগ বাড়ায়
তবে শুধু হরমোনই যে খলনায়ক, তা কিন্তু নয়। রাগের আরও নানা কারণ থাকে। যেমন, হতাশা। সংসার ও পেশা সামলাতে গিয়ে ব্যক্তিগত ইচ্ছাগুলো এলোমেলো হয়ে যায় অনেকের। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও আপনজনদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের প্রত্যাশা পূর্ণ হয় না অনেক সময়েই। তা থেকেও জন্ম নেয় রাগ।

বাড়ি-পরিবার নিয়ে চিন্তা
শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিও বড় বিষয়। বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের নিয়ে চিন্তা, সংসার-সন্তানের দায়িত্ব পালন— সব কিছু মিলিয়ে ক্লান্তি বাড়ে। সেখান থেকেও রাগের জন্ম হতে পারে।

রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়
-মনোবিদ্যার পরিভাষায় একে বলা হয় ‘অ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্ট’। তার কিছু উপায় আছে।

-কেন রাগ হচ্ছে, সেই কারণগুলো আগে থেকেই বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। এবং সেইমতো আচরণ ও প্রতিক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা জরুরি।

-মনের মধ্যে ক্ষোভ জমিয়ে না রেখে তা প্রকাশ করা খুব জরুরি।

-রাগের উপলক্ষকে দূরে সরাতে চেষ্টা করুন। যে মুহূর্তে মনে হচ্ছে রাগ হতে পারে, সেই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিন।

Advertisement

-দিনের কিছুটা সময় নিজের জন্য বার করুন। ওই সময়ে আপনি নিজের মতো করে সময় কাটান।

-রাগের মাথায় কোনও কিছু বলে ফেলা খুব সোজা। তার পরে সেই কথা নিয়ে অনুশোচনার শেষ থাকে না। কিছু বলার আগে কয়েক মুহূর্ত সময় নিন। একটু ভাবুন। অন্যদেরও ভাবার সুযোগ দিন।

-শরীরচর্চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। রাগও নিয়ন্ত্রণে রাখে। যদি দেখেন, চড়চড় করে বাড়ছে রাগের পারদ, তাহলে বরং কয়েক চক্কর হেঁটে আসুন। খানিক ক্ষণ বসে ধ্যান করে নিন।

-কী কারণে আপনি রেগে যাচ্ছেন, সে বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে কী ভাবে সমস্যার সমাধান হবে, তা নিয়ে মনোযোগী হোন। অন্যের নিন্দা বা সমালোচনা না করে নিজের পছন্দ-অপছন্দ পরিষ্কার করে জানান। তাতেও কাজ হবে অনেকটা।

 
  

Read more!
Advertisement
Advertisement