Heart Disease: ভারতে হৃদরোগীর সংখ্যা খুব বেশি এবং আজকাল এই রোগটি যুবকদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে, তবে অনেক সময় যারা ফিট তারাও এর শিকার হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে, সিদ্ধার্থ শুক্লা, পুনীত রাজকুমার এবং গায়ক কে কে সহ অনেক বিখ্যাত সেলিব্রিটি হার্ট অ্যাটাকের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। আপনার আশেপাশে যদি হঠাৎ করে কোনো ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হয়, তবে এমন পরিস্থিতিতে কী করা সঠিক হবে যা তার জীবন বাঁচাতে পারে, আসুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
হার্ট অ্যাটাক কাকে বলে?
আমাদের ধমনীতে রক্ত সরবরাহে হঠাৎ বাধা সৃষ্টি হলে এই অবস্থাকে হার্ট অ্যাটাক বলে। এই অবরোধ আসলে করোনারি ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে হয়। যার কারণে হার্টে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হয়।
হার্ট অ্যাটাকের পর কী করবেন?
সিঙ্গার কেকে-র ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর হার্টের ধমনীতে অনেক ব্লকেজ ছিল এবং সময়মতো সিপিআর (CPR) দেওয়া হলে তাঁর জীবন বাঁচানো যেত। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে, রোগীকে অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, যদি কাছাকাছি চিকিৎসা সহায়তা না পাওয়া যায় তবে রোগীকে সিআরপি দেওয়া শুরু করুন।
CPR আসলে কী?
সিপিআরকে আসলে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (Cardiopulmonary Resuscitation) বলা হয়, যাতে অচেতন রোগীর বুকে চাপ দেওয়া হয় এবং কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়া হয়, যাতে ফুসফুসে অক্সিজেনের ঘাটতি না হয়। এর সাহায্যে হার্ট অ্যাটাক ও শ্বাসকষ্ট হলে একজনের জীবন বাঁচানো যায়। CPR জরুরি পরিস্থিতিতে দেওয়া একটি মেডিকেল থেরাপি হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি একটি পরীক্ষিত পদ্ধতি যা এমন লোকদের জীবন বাঁচিয়েছে যাদের প্রায়ই শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।
অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি জীবন বাঁচাবে
অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি (Angioplasty) বা বাইপাস সার্জারি সাধারণত হার্ট অ্যাটাক রোগীদের জন্য করা হয়। এটি কার্ডিওলজির একটি পদ্ধতি যাতে হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলিতে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীর ব্লকগুলি সরানো হয় এবং রাস্তা খোলা হয়। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের করোনারি ধমনিতে স্টেন্টও ঢোকানো হয় যাতে রক্ত চলাচলে কোনো সমস্যা না হয়।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)