রবিবার মানেই বাঙালি বাড়িতে কচি পাঁঠার ঝোল আর গরম ভাত। খুব সামান্য মশলা ও বড় বড় আলু দিয়ে খাসির মাংসের ঝোল পাতে পড়তেই খিদেটা একেবারে দশগুণ বেড়ে যেত। আগেরকার দিনে বাঙালি বাড়িতে চিকেন অর্থাৎ মুরগীর মাংস আনার চল ছিল না। তখন মাটন ও মাছেই বাঙালি রসনা তৃপ্তি করত। তবে এখন বাঙালি স্বাস্থ্য সচেতন, তাই মাটন খুব একটা খাওয়া হয় না। তবে মাসে এক-আধবার খাওয়া যেতেই পারে। শিখে নিন তাহলে বাঙালি বাড়ির জনপ্রিয় পাঁঠার মাংসের ঝোল।
কী কী লাগবে
কচি পাঁঠা ১ কেজি
আলু বড় বড় করে কাটা
পেঁয়াজ কুচনো ২ টো বড়
টমেটো ২ টো মাঝারি কুচনো বা বাটা
রসুন বাটা ৭ কোয়া
আদা বাটা ৩ ইঞ্চি স্টিক
টকদই ৩ টেবিল চামচ
ছোট এলাচ ৫ থেকে ৬টা
দারচিনি ১ টা বড়
লবঙ্গ ৩-৪টে
তেজপাতা ২টো বড়
হলুদ গুঁড়ো দেড় চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো ২ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো দেড় চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ
ঘি ১ টেবল চামচ
সর্ষের তেল পরিমাণ মতো
নুন স্বাদ মতো
পদ্ধতি
মাংসের মধ্যে দই, নুন, অর্ধেক আদা-রসুন বাটা, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো দিয়ে অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন। কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে ছোট এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ ও তেজপাতা ফোড়ন দিন। সুন্দর গন্ধ বেরোলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। পেঁয়াজ লাল হয়ে গেলে এ বার আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণটি সোনালি হয়ে আসছে ততক্ষণ নাড়তে থাকুন লো ফেমে। এরপর টমেটো কুচি দিয়ে দিন। টমেটো যখন নরম হয়ে গলে যাবে তখন মাংস ও আলু দিন। ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না মাংসের রং বদলাচ্ছে ও জল ছাড়তে শুরু করছে। ততক্ষণ ভালো করে কষাতে থাকুন। মাংস জল ছাড়তে শুরু করলে সবশুদ্ধ নিয়ে প্রেসার কুকারে দিয়ে দিন। কতটা ঝোল প্রয়োজন সেই বুঝে জল দেবেন। প্রেসার কুকারের ঢাকনাটি চাপা দিয়ে ১২-১৫টা হুইসল পর্যন্ত সিদ্ধ করুন। প্রেসার কুকারের স্টিম বের করে দিয়ে ঢাকনাটা খুলুন। এর পর ৭-১০ মিনিট গ্যাসের আঁচ একদম ঢিমে রেখে দিন। কতটা ঝোল চান সেই অনুযায়ী ঠিক করে নিন আঁচে কতক্ষণ রাখবেন। মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ বন্ধ করে ঘি ও গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। খাওয়ার আগে ঢাকনা খুলবেন। এর পর গরম ভাতের সঙ্গে গন্ধরাজ লেবু ও মাংসের পাতলা ঝোল খেলে জমে যাবে সারা সপ্তাহের রসনা তৃপ্তি।