আর্নল্ড শোয়াজেনেগার, রনি কোলম্যান, ফিল হিথের মতো অনেক পুরুষ বডি বিল্ডাররা বয়স বাড়লেও নিজেদের শরীর ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। শরীরী আবেদনে তামাম নারীকুল তো বটেই পুরুষরাও তাকিয়ে দেখেন। তাঁদের দেখেই ফিটনেসচর্চা করেন। তবে বয়স বাড়লেও অনেকে শরীর ধরে রাখতে পারেন না। হরমোনের প্রভাব কমতে থাকে। কিন্তু উপরোক্ত ছবির এই মহিলাকে দেখে বোঝার উপায় নেই তাঁর বয়স ৫৩। পঞ্চাশ পেরোলেও আন্দ্রেয়া সানশাইনের পেটে খোদই করা সিক্স প্যাক অ্যাবস। তিনি পেশাদার বডি বিল্ডারও। আন্দ্রেয়ার দাবি, তাঁর অর্ধেক বয়সী পুরুষরা বাইরে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।
NYpost-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্দ্রেয়া সানশাইন থাকেন লন্ডনে। তিনি ব্রাজিলিয়ান এবং ডাচ মডেল। সেই সঙ্গে পেশাদার বডি বিল্ডারও। সুপারফিট দাদি নামে বিখ্যাত নেট মাধ্যমে। আন্দ্রেয়া জানান, দুর্দান্ত ফিটনেস থাকা মহিলাদের প্রতি আকৃষ্ট হন পুরুষরা। আমিও দারুণ ফিট। অনেক যুবক আমাকে ঘুরতে নিয়ে যেতে চান। এর মধ্যে ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সের পুরুষরা আছেন। যদিও আন্দ্রেয়ার দাবি, পুরুষদের জন্য নয় বরং নিজেকে ফিট রাখতেই শরীরচর্চা করেন।
৮ ঘন্টা শরীরচর্চা
NYPost অনুযায়ী, আন্দ্রেয়া দিনে ৩ ঘন্টা ওয়ার্কআউট করেন। কখনও কখনও সেটা ৮ ঘন্টা হয়ে যায়। পরিশ্রমের কারণেই এখনও সৌন্দর্য অক্ষুন্ন। ওজন তোলার আগে তিনি ১ ঘন্টা কার্ডিও করেন। তার পর ভারী ওজন তোলেন। শুধুমাত্র জিমে গেলে শুধুমাত্র ওয়ার্কআউটই করেন। তিনি অনেক বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণও করেছেন। তাঁর হাঁটুর বয়সী মেয়েরা অংশ নিয়েছিলেন। আন্দ্রেয়া বলেন,'এই বয়সেও আমি খুব ভাল অবস্থায় আছি। শরীর নিয়ে আমি গর্বিত।
ডায়েট কেমন?
আন্দ্রেয়ার কথায়,'আমি সবসময় স্বাস্থ্যকর ডায়েট করি। প্রতিদিন ডায়েটে বেশি করে ব্রকলি ও সবুজ শাকসবজি খাই। এছাড়া প্রোটিন যুক্ত খাবারও আমার খাদ্য তালিকায় রয়েছে। কখনও কখনও আমি ৩৫০০ ক্যালোরিও খেয়ে ফেলি। নিজেকে সুস্থ ও রোগা রাখতে মিষ্টি থেকে দূরে থাকি। রান্নায় নুন ও তেল ব্যবহার করি না।
৫৩ বছর বয়সে ফিটনেসের রহস্য
আন্দ্রে সানশাইন জানান,'সিগারেট থেকে দূরে থাকি। কখনও ধূমপান করি না। ধূমপান করলে এই চেহারা থাকত না। ছোটবেলায় একবার ধূমপানের চেষ্টা করেছিলাম।' আন্দ্রেয়া আরও বলেন,'আমি কখনও ফটো এডিটিং করি না। কারণ আমি মানুষকে বলতে চাই ধূমপান ছাড়া আপনি কতটা ফিট থাকতে পারেন। আমি সব ধরণের পোশাক পরি। সব পোশাকই আমায় মানায়।'
আরও পড়ুন- ওষুধ, নিরোধ লাগবে না! প্রেগনেন্সি রুখে দেয় প্রাকৃতিক 'রিদম মেথড'