ডায়াবেটিস এমন একটা রোগ যাতে ব্লাড সুগারের স্তর বাড়তে কমতে থাকে। ডায়াবেটিসের রোগীদের নিজেদের খাওয়া-দাওয়ার উপর অত্যন্ত জরুরি ভাবে মনোযোগ দিতে হয়। একটু এদিক ওদিক হয়ে গেলে ব্লাড সুগারের স্তর চড়চড় করে বাড়তে থাকে। সঠিক ডায়েট নিজের ব্লাড সুগারে মাত্রা পাঠানো যেতে পারে। ডায়াবেটিস রোগ যেখানে শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন না তৈরি হতে থাকলে শরীরে ইনসুলিন এর অভাবে রক্তে ভারসাম্য নষ্ট করে।ইনসুলিন রক্ত ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ওই কারণে ব্লাড সুগার অনেক বেড়ে যায়। ডায়েট এর মাধ্যমে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় পাশাপাশি খেতে হয়। গাদা গুচ্ছের ওষুধ খাওয়া দাওয়ার পরে কন্ট্রোল না করতে পারলে নাড়তে থাকে আসুন জেনে নিই কয়েকটি জিনিস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়।
বিনস : বিনস এ রাজমা, বিন, বরবটি এই জিনিসগুলি পড়ে। হেলথ এক্সপার্টদের বক্তব্য অনুসারে ভরপুর মাত্রায় প্রোটিন পাওয়া যায়। এ ছাড়া আয়রন এবং ফাইবারের প্রচুর পরিমাণে আধিক্য থাকে। ফাইবারের মাত্রা বেশি হওয়ার কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমে যায়। ব্লাড সুগারে গ্লুকোজের স্তর উন্নত করে। এ ছাড়া এটি ব্লাড প্রেসারে কোলেস্টেরল কমিয়ে আনে। এই কারণে ডায়াবেটিসের রোগীদের দিন অবশ্যই খাওয়া উচিত।
মাছ : এক্সপার্টরা ডায়াবেটিসের রোগীদের সপ্তাহে অন্তত একটি মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছ। যার মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড প্রচুর পরিমাণে থাকে, সেই ধরনের মাছ খেতে বলা হয়। তাহলে হার্ট সুরক্ষিত থাকে। ডায়াবেটিসে বেশিরভাগ রোগী কিডনির রোগে ভোগেন। মাছ খেতে থাকলে ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনির রোগের সম্ভাবনা কমে যায়।
বাদাম : অনেকে বাদাম টেস্ট করে খান। শুধু তাদের জন্যই নয়, কিন্তু ডেলি ডায়েটে যদি এই নাট বা বাদাম শামিল করা যায় তাহলে ডায়াবেটিস এর মধ্যে অত্যন্ত ফায়দা হয়। হেলথ এক্সপার্টদের বক্তব্য অনুসারে কাজু, হ্যাজেলনাট, আখরোট, পেস্তা খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম হয়ে যায় এবং কোলেস্টরল কম করে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মিষ্টি আলু : টাইপ ১ ডায়াবেটিস হলে কিছু মাত্রায় কার্বস খেতে হয়। যা ব্লাড সুগারকে একদম কম হওয়ার থেকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। টাইপ টু ডায়াবেটিসে রোগীদের নিজেদের প্রায় অর্ধেক ক্যালরি এই কার্বস থেকে নিতে পারেন। আলুর তুলনায় মিষ্টি আলুতে গ্লাইম্যাক্স ইন্ডেক্স কম থাকে। তাই ফাইবারের মাত্রা বেশি থাকে। সে কারণে রক্তে ধীরে ধীরে ব্লাড সুগার তৈরি হয়।
ওটস : ক্লাইম্যাক্স ইনডেক্স কম করার জন্য ওটস টাইপ টু ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য অত্যন্ত ভাল বিকল্প। এর মধ্যে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। কন্ট্রোল করার সঙ্গে সঙ্গে পচনের সঠিক নিয়ন্ত্রণ রাখে। ব্রেকফাস্টে অন্যান্য খাবারের তুলনায় ওর ব্যবহার করলে গ্লুকোজের মাত্রা কমতে থাকে। দুধের সঙ্গে অথবা খিচুড়ি বানিয়ে ওটস খাওয়া যেতে পারে।
জাম : ছোট দেখতে এই জাম এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ফল অথবা সবজির তুলনায় এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক বেশি থাকে। জামে ন্যাচারাল রূপে পাওয়া যাওয়া ফাইটোকেমিক্যাল। যা শরীরের প্রচুর রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ রমধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে এবং ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে। এর মধ্যে ব্লাড সুগারের মধ্যে থাকা খারাপ দূষিত জিনিসগুলোকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ' পেপার অনুসারে ব্লুবেরি খেলে ডায়াবেটিসের রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব।