বছরভর নানা উৎসবের মধ্যে ভারতে দোলযাত্রা (Dolyatra) বা হোলি (Holi) জনপ্রিয়। রং খেলা, আড্ডার পাশাপাশি প্রচুর খাওয়া দাওয়া চলে এই উৎসবে। রকমারি খাবারের মধ্যে হোলিতে ঠান্ডাই (Thandai) একেবারে মাস্ট বা বলা চলে একটা রীতি৷
বর্তমানে এই পানীয় কিনতেও পাওয়া যায়। তবে বাইরে থেকে না কিনে বাড়িতে বানানো ঠান্ডাই কম ক্ষতিকর ও সুস্বাদু। এই ঠান্ডাই খুব ভাল 'সামার ড্রিঙ্ক'। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে এই বছর গরম ভালই পড়েছে। শুধু হোলি কেন, এই গ্রীষ্মেও আপনি খেতে পারেন ঠান্ডাই। জানুন কী কী উপকারিতা রয়েছে এই পানীয়র।
আরও পড়ুন: প্রচুর রং খেলেছেন? জানুন হোলির পরে কীভাবে যত্ন নেবেন ত্বক ও চুলের
* কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে
ঠান্ডাই অল্প পরিমাণে পোস্ত থাকে, যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল জ্বালা উপশম করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এই পানীয় পুষ্টিকর এবং প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, চর্বি এবং খনিজের ভাল উৎস।
* পেট ফাঁপা নিরাময় করে
ঠান্ডাইতে মৌরী দেওয়া হয়। শরীর ঠান্ডা করার পাশাপাশি, মৌরী পেট ফাঁপা নিরাময় করতে পারে। মৌরীতেও প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা হজমশক্তিকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে।
* হজমের উন্নতি ঘটায়
মৌরী, গোলাপের পাপড়ি শরীরকে শীতল করে এবং শরীরের হজমশক্তিও উন্নত করে। এই দুটি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ, গ্রীষ্মের পারদ যখন চড়তে থাকে, শরীর ঠান্ডা রাখা খুব জরুরি।
আরও পড়ুন: মাছেই বাড়ে শিশুর বুদ্ধি, গর্ভবতী মায়েদের আদর্শ ডায়েট, বলছে গবেষণা
* শক্তি বাড়ায়
ভারতে গ্রীষ্মে মানুষ ক্লান্ত বোধ করে। ঠান্ডাইতে তরমুজ, কুমড়োর বীজ যোগ করা হয় যাতে এটি একটি প্রাকৃতিক শক্তিদায়ক হয়। এই পানীয়তে বাদাম এবং পেস্তার মতো শক্তি-প্রদানকারী উপাদান থাকে, ফলে শরীরে শক্তি জোগায়।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ঠান্ডাইতে যোগ করা মশলা, যেমন গোলমরিচ এবং লবঙ্গ, গ্রীষ্মকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ।
* এগুলি ছাড়াও, ঠান্ডাইয়ের জাফরানে অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট এবং অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার সামগ্রিক উন্নতির দিকে পরিচালিত করে।