Signs of Kidney Disease: কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির অন্তর্ভুক্ত। শিমের বীজের আকৃতির মতো দেখতে কিডনি রক্ত পরিশোধনের পাশাপাশি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে কাজ করে। যদি কোনো কারণে আপনার কিডনি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে এর কারণে আপনার শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। এছাড়াও কিডনি শরীরের pH মাত্রা, লবন এবং পটাসিয়ামের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ভুল খাওয়া-দাওয়া ও লাইফস্টাইলের কারণে কিডনিতে নানা ধরনের সমস্যা হয়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন, হৃদরোগ, হেপাটাইটিস সি এবং এইচআইভিও কিডনি বিকল হওয়ার প্রধান কারণ।
কেন কিডনি রোগ নীরব ঘাতক?
ডাঃ গণেশ শ্রীনিবাস প্রসাদ, কনসালটেন্ট, নেফ্রোলজিস্ট এবং ট্রান্সপ্লান্ট ফিজিশিয়ান, নারায়না হেলথের মতে, কিডনি রোগকে নীরব ঘাতক বলা হয় কারণ ৯০ শতাংশ রোগীর শেষ পর্যায় পর্যন্ত কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। এগুলো এড়াতে কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিহ্নিত করে চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
কিডনি রোগের লক্ষণ উপেক্ষা করবেন না
ডাঃ প্রসাদ জানান, প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগ সাধারণত নীরব থাকে। সিরাম ক্রিয়েটিনিন এবং প্রস্রাবের অ্যালবুমিন সনাক্তকরণের মতো পরীক্ষার সাহায্যে এটি নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে, কিডনির সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীরা সারা শরীরে ফোলাভাব, প্রস্রাবে ফেনা এবং কখনও কখনও রক্ত দেখতে পারে। কিডনির কার্যক্ষমতা দুর্বল হয়ে গেলে শরীরে টক্সিন জমতে শুরু করে, যার ফলে কোমর ব্যথা, তলপেটে ও পাঁজরে ব্যথা, চুলকানি, ত্বকের শুষ্কতাও কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। ডাঃ প্রসাদ বলেন যে হাই ব্লাডপ্রেশার কিডনি সমস্যার সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রাথমিক সতর্কতা লক্ষণগুলির মধ্যে একটি।
এই লোকেদের নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত
ডাঃ প্রসাদ বলেন, "হাই ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস এবং স্থূলতা আছে এমন রোগীদের নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করা উচিত, এমনকি কোনো লক্ষণ না থাকলেও।" ডাঃ ছাবরার মতে, কিডনি সংক্রান্ত প্রাথমিক সতর্কতা সনাক্ত করতে সময়ে সময়ে কিডনি পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেশার বা কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, তাদের অবশ্যই সময়ে সময়ে পরীক্ষা করাতে হবে। কিডনি রোগ নির্ণয়ের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ডাঃ ছাবরা বলেন, “কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা, প্রস্রাব মূল্যায়ন এবং রক্তচাপ পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনির সমস্যা সনাক্ত করতে পারে, যার পরে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনির কার্যকারিতা সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে। এভাবে কিডনি রোগের অগ্রগতি আটকে দেওয়া যেতে পারে।"