Advertisement

Bone Glue: চিনে তৈরি হল বিশ্বের প্রথম ‘হাড়ের আঠা’, মাত্র ২-৩ মিনিটেই জুড়ে যাবে ভাঙা হাড়

চিনের বিজ্ঞানীরা চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক বৈপ্লবিক সাফল্য অর্জন করেছেন। তারা বিশ্বের প্রথম ‘হাড়ের আঠা’ (Bone Glue) তৈরি করেছেন, যা মাত্র ২-৩ মিনিটের মধ্যে ভাঙা হাড় জোড়া লাগাতে সক্ষম। এর ফলে ভবিষ্যতে হাড় জোড়ার জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশে কমে যাবে।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 12 Sep 2025,
  • अपडेटेड 2:17 PM IST
  • চিনের বিজ্ঞানীরা চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক বৈপ্লবিক সাফল্য অর্জন করেছেন।
  • তারা বিশ্বের প্রথম ‘হাড়ের আঠা’ (Bone Glue) তৈরি করেছেন, যা মাত্র ২-৩ মিনিটের মধ্যে ভাঙা হাড় জোড়া লাগাতে সক্ষম।

চিনের বিজ্ঞানীরা চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক বৈপ্লবিক সাফল্য অর্জন করেছেন। তারা বিশ্বের প্রথম ‘হাড়ের আঠা’ (Bone Glue) তৈরি করেছেন, যা মাত্র ২-৩ মিনিটের মধ্যে ভাঙা হাড় জোড়া লাগাতে সক্ষম। এর ফলে ভবিষ্যতে হাড় জোড়ার জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশে কমে যাবে।

ঝিনুক থেকে অনুপ্রাণিত আবিষ্কার
চিনের ওয়েনঝোতে ডঃ লিন জিয়ানফেং এবং তাঁর দল ঝিনুকের গঠন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই আঠা তৈরি করেছেন। সমুদ্রের শক্ত স্রোত ও তরঙ্গের মধ্যেও ঝিনুক শিলার গায়ে দৃঢ়ভাবে লেগে থাকে। সেই ধারণা থেকেই তৈরি হয়েছে ‘Bone 02’ নামের এই বিশেষ জৈব পদার্থ।

বৈশিষ্ট্য ও কার্যকারিতা
আঠার আঠালো শক্তি ২০০ কেজিরও বেশি। রক্তে ভরা পরিবেশেও এটি কার্যকরভাবে হাড় আটকে রাখে। অস্ত্রোপচারের সময় ব্যবহারে মাত্র ২-৩ মিনিটের মধ্যে ভাঙা হাড় জোড়া লাগে। ৬ মাসের মধ্যে এটি নিজে থেকেই শরীরে দ্রবীভূত হয়, ফলে অতিরিক্ত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না। সম্পূর্ণরূপে জৈব-নিরাপদ (Biocompatible) এবং শরীরের জন্য ঝুঁকিমুক্ত।

পরীক্ষায় সফলতা
এখন পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি রোগীর উপর এই আঠার সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এটি নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। গবেষকদের মতে, হাড় ভাঙা, ফ্র্যাকচার ও জটিল অর্থোপেডিক সার্জারিতে এটি বিপ্লব ঘটাবে।

প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় সুবিধা
বর্তমানে হাড় জোড়ার জন্য ধাতব ইমপ্লান্ট ব্যবহৃত হয়, যা অপসারণ করতে দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়। এতে সংক্রমণ ও ব্যয়ের ঝুঁকি থাকে। নতুন হাড়ের আঠা এসব সমস্যার সমাধান দেবে, পাশাপাশি অস্ত্রোপচারের সময়ও কমিয়ে দেবে।

বিশ্বে গুরুত্ব
প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ হাড় ভাঙার সমস্যায় ভোগেন। নতুন এই প্রযুক্তি তাদের চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। চিন ইতিমধ্যেই এই আবিষ্কারের জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পেটেন্ট (PCT) আবেদন করেছে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement