Advertisement

ইলিশের জোগান নেই দুই বাংলায়, ওদিকে কানাডায় সারা বছর দেদার মিলছে সুস্বাদু ইলিশ

বাংলাদেশ হোক কিংবা পশ্চিমবঙ্গ, ভাল ইলিশের দাম হাতের নাগালের বাইরে। তাছাড়া সুস্বাদু ইলিশের জোগানও তেমন নেই। অথচ সুদূর আমেরিকার কানাডায় সারা বছর মিলছে নাগালের ইলিশ। কিন্তু কীভাবে ?

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • টরন্টো,
  • 02 Sep 2021,
  • अपडेटेड 12:46 PM IST
  • কানাডায় সারা বছর মিলছে ইলিশ
  • ইলিশের দামও তুলনামূলর সস্তা
  • ভাল ইলিশ রপ্তানি হয়ে যাচ্ছে

ইলিশ নিয়ে আঁকুপাঁকু মনোভাব কোনওদিনও যাবে না। এপার বাংলা হোক কিংবা ওপার বাংলা। ইলিশ খাওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে আম বাঙালি। তাই তো কোন বাজারে দাম কম, কোন বাজারে মিলছে পদ্মার ইলিশ, কোথায় মেঘনা তা নিয়ে দৌড়োদৌড়ি চলেই।

বাংলায় ইলিশপ্রেমীদের কাছে ইলিশ যেন রূপকথা 

অথচ প্রতি বছরই আশায় থাকে আম বাঙালি সস্তায় ইলিশের জন্য অথচ প্রতি বছরই একটু একটু করে দাম বেড়ে যায়। নিম্নবিত্ত তো কোন ছার সাধারণ মধ্য়বিত্তের হাতের নাগাল থেকে দূরে সরতে থাকে ইলিশের ঘ্রাণ। মরশুমেই এই অবস্থা, বেমরশুমে তো কোনও কথাই নেই। ইলিশ ক্রমশ দুর্গাপুজোয় পদ্ম সংগ্রহের মতোই দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়ছে ক্রমশ। অথচ সুদূর আমেরিকার একটি দেশে সারা বছরই মিলছে ইলিশ। তুলনামূলক সস্তা দামেই।

অথচ সুদূর আমেরিকার কানাডায় দেদার মিলছে ইলিশ

বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ইলিশ মাছ উত্তর আমেরিকা মহাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ 'কানাডা'য় সারা বছরই ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তার জন্য বর্ষা কি শীতের অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশি দোকানগুলোতে ইলিশের সম্ভার চেখে দেখতে শুধু বাঙালি নয়, বাঙালি বন্ধুদের সঙ্গে অন্য ভারতীয়রা এবং কিছু বিদেশীরাও ইলিশ খাচ্ছেন। যদিও কাঁটার ভয়ে ইলিশ থেকে একটু দূরেই থাকেন বিদেশীরা।

দামও তুলনামূলক সস্তা

ছোট আকারের একটি ইলিশের দাম মোটামুটি ১৫ থেকে ২০ কানাডিয়ান ডলার পড়ছে। আর বড় একটি ইলিশের দাম পড়ে ৩৫ থেকে ৪৫ কানাডিয়ান ডলার। তার মানে, টাকায় বড় একটি ইলিশের দাম পড়ে প্রায় ২ হাজার টাকা। মরশুমে বাংলার সব বাজারেই এক কেজি ইলিশ সারা বছর দেড থেকে ২ হাজার টাকায় বিকোয়। মরশুমে ২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। কানাডার মানুষের আয়ের সঙ্গে তুলনা করলে এটা তেমন কোনও একটা দাম নয়।

Advertisement

আকারেও বেশ বড়

কানাডায় যে ইলিশগুলো পাওয়া যাচ্ছে, তা বেশ টাটকা আর আকারেও বড় আকৃতির। কানাডা প্রবাসী বাঙালিদের যে কোনও পার্টিতেই ইলিশের চাহিদা রয়েছে। অতিথিদেরও তাঁরা ইলিশের পদ দিয়ে স্বাগত জানান। ফলে ইলিশের কোনও হাহাকার কিন্তু সেখানে নেই।

বাংলায় অমিল-বিদেশি সুমিল

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যেখানে ইলিশ ধরা হয়, বা খনি বলা যায় যাকে, সে জায়গায় ইলিশ মেলে না, আর কানাডায় ইলিশ মেলে কেন ? আসলে একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, ভাল ইলিশ আগেই প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতে যেখানে বাঙালি ও ভারতীয়রা রয়েছে সেখানে পাঠানো হয়। ফলে বাংলাদেশে এবং পশ্চিমবাংলায় ইলিশ যা পড়ে থাকে তা ছাঁট। আর যদিও বা থাকে তার যা দাম তা আকাশ ছোঁয়া।

ভাল ইলিশ রপ্তানি হয়ে যাচ্ছে

জানা গিয়েছে, একজন স্কটিশ বিজ্ঞানী হ্যামিলটন ইলিশ মাছ নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা করেন এবং ১৮২২ সালে এই মাছের বৈজ্ঞানিক নামকরণ করেন। পৃথিবীতে প্রতি বছর কয়েক লাখ টন ইলিশ ধরা হয়ে থাকে, যার ৬০ শতাংশই বাংলাদেশ থেকে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মিয়ানমার, চীন ও আরব সাগরের তীরের দেশগুলোতে ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। তবে মজার কথা হলো, পদ্মা ও মেঘনা, কিছুটা গঙ্গার ইলিশ মাছই খেতে সবচেয়ে সুস্বাদু। তাই এই মাছের একটা বডজ় অংশ প্রথম বিশ্বের দেশে চলে যায়। সেখানে যে দামে বিক্রি হয়, তা কেনা কোনও ব্যাপারই নয়।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement