কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের রোগী এখন ঘরে ঘরে। হাই কোলেস্টেরলের (High Cholesterol) মাত্রা বৃদ্ধির মূল কারণ হল ভুল ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা (Unhealthy Lifestyle)। হাই কোলেস্টেরলে ভুগলে হৃদয়ের স্বাস্থ্যে মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলে। রক্তে জমে থাকা নোংরা পদার্থ দ্রুত হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অস্বাস্থ্য়কর খাদ্যাভাস, দীর্ঘক্ষণ ধরে বসে থাকা, নিয়মিত ব্যায়ামের অভাবের কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। মোমের মতো আঠালো পদার্থই হল কোলেস্টেরল (Cholesterol)। সাধারণত অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে রক্তের শিরায় জমতে থাকে এই কোলেস্টেরল। এর জেরে রক্তনালীতে ব্লকেজ তৈরি করে ও রক্তপ্রবাহকে ধীর করে তুলতে পারে। এই কারণেই অনেক রোগ শরীরের মধ্যে বাসা বাঁধে।
কোলেস্টেরলের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা আছে কি? কোলেস্টেরল কমানোর অনেক উপায় রয়েছে, তবে সবার আগে চর্বিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া প্রতিদিনের ব্যায়াম প্রয়োজন যাতে তা গলিয়ে ফেলা যায়। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে শুরু করলেই আমরা আগে ডাক্তারের কাছে যাই। গাদা টাকা খরচ করে হাই-কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়। তবে হাই কোলেস্টেরলের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাও রয়েছে। এমন অনেক আয়ুর্বেদিক প্রতিকার রয়েছে, যা ৫ দিনে কোলেস্টেরল নিরাময় করতে পারে।
মধু
চিকিৎসকের মতে, মধু রক্তনালীর আস্তরণে খারাপ কোলেস্টেরল প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এর জন্য ১ কাপ গরম জলের মধ্যে ১ চা চামচ মধু ও লেবুর রস ও কয়েক ফোঁটা আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন।
রসুন
রসুনে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সালফার। এটির পুষ্টি উপাদান, যা উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর ঘরোয়া প্রতিকার হল রসুনের ৬ থেকে ৮ কোয়া পিষে ৫০ মিলি দুধ এবং ২০০ মিলি জলে সেদ্ধ করে খান।
হলুদ
হলুদ এমন একটি মশলা যা ধমনীর দেয়ালে জমে থাকা চর্বি গলিয়ে ফেলতে সাহায্য করে ও শিরায় জমা কোলেস্টেরল ভেঙে দেয়। এর জন্য হালকা গরম জলের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন।
মেথি বীজ
মেথি বীজে রয়েছে পটাসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান, যা শরীরে কোলেস্টেরলের শোষণকে কমিয়ে দেয়। এর জন্য এক চা চামচ মেথি গুঁড়ো গরম জলের সঙ্গে দিনে দুবার খান।
ধনে বীজ
ধনের হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাবের কারণে উচ্চ কোলেস্টেরল কমে যেতে পারে। ধনে বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও কার্যকর। রক্তে শর্করা কমাতেও কাজ করে। এজন্য ১ কাপ জলের মধ্যে ২ চামচ হলুদ মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। দুধ, চিনি ও এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে দুবার পান করুন।
আপেল
আপেল হল পেকটিন সমৃদ্ধ ও এতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড নামক প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও এমনকি ফুসফুস ও হৃদয়কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এ জন্য প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে উপকার পাবেন সব দিক থেকে।
বিটরুট
বিটরুটে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড এবং ফ্ল্যাভোনয়েড যা এলডিএল অর্থাৎ নোংরা কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ককারী উপাদান। বিটের গুণে রক্তে শর্করা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে। এই জন্য, আপনি এটি সালাদে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন বা এর রস পান করতে পারেন।