চিকিৎসার ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। সংক্রমণের মোকাবিলায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। ব্যাকটেরিয়া মারতে বা বৃদ্ধি বন্ধ করতে সক্ষম। হুপিং কাশি, গলায় সংক্রমণ, দাঁতে ব্যথা এবং মহিলাদের ইউটিআই সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে অ্যান্টিবায়োটিক। তবে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার আগে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। নইলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন। কিন্তু তা আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে দুর্বল করতে পারে। তাই এই ওষুধের সঙ্গে এমন খাবার খাওয়া উচিত যা অ্যান্টিবায়োটিকের সাইডএফেক্ট থেকে রক্ষা করতে পারে। হজম এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য এই ধরনের খাবার খুবই দরকারি।
১। গরম এবং হালকা খাবার- চিকিৎসকরা বলছেন, অসুস্থতার সময় পেটের হজমশক্তি দুর্বল হয়ে যায়। তাই খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার। রান্নার সময় সহজপাচ্য খাবারই বাছা উচিত, যাতে দ্রুত হজম হতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার সময় এক চিমটি শুকনো আদার গুঁড়ো দিয়ে সাধারণ খিচুড়ি বা সাবুর খিচুড়ি খেতে পারেন। সেটা গরমই খান।
২। খিদে পেলে তবেই খাবেন- অ্যান্টিবায়োটিক খিদে কমাতে পারে। তাই খিদে না পাওয়া পর্যন্ত খাবার খাবেন না। খিদে বাড়াতে হালকা গরম জল পান করুন। ধীরে ধীরে হাঁটুন। খিদে পেয়ে যাবে।
৩। স্যুপ- তরল জিনিস দ্রুত হজম হয়। শরীর সহজেই পুষ্টি শোষণ করতে পারে। সবজির স্যুপ, মুগ ডাল খেতে পারেন। এছাড়া ছাতুর সরবতও খেতে পারেন আপনি।
৪। বাদাম, ফলমূল এবং মূল শাকসবজি নয়- মাটির নীচে জন্মানো সবজি হজম হয় না চট করে। ফল অ্যাসিড তৈরি করতে পারে। বাদামও হজম হতে সময় লাগে। পেটে গ্যাস তৈরি করতে পারে। তাই বিট, গাজর, বাদাম এবং ফল খাবেন না। অ্যান্টিবায়োটিকের সাইডএফেক্ট দেখতে পারেন।
বাটারমিল্ক- খাওয়ার পর বাটার মিল্ক খেলে হজমের গতি বাড়ে। এতে আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিগুণ রয়েছে। বাটারমিল্কে ১ চিমটি নুন,আধ চা চামচ জিরে গুঁড়ো এবং এক চা চামচ সেলারি যোগ করুন। অ্যান্টিবায়োটিক পেটে কোনও খারাপ প্রভাব ফেলবে না।