অধিকাংশ পুরুষই আজকাল ক্লান্তির শিকার হচ্ছেন। এর নেপথ্যে রয়েছে মূলত অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল। স্বাস্থ্যের নানা পরিবর্তন এবং এনার্জির অভাব বেশিরভাগ পুরুষদেরই ইদানিং অল্পেতেই ক্লান্ত এবং দুর্বল করে তুলছে। অ্যানিমিয়া অর্থাৎ রক্তাল্পতা, টেস্টোস্টেরন অর্থাৎ পুরুষ হরমোনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণেও দুর্বলতা আসছে পুরুষদের মধ্যে।
মূলত অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল, অনিদ্রা, ব্যায়াম এবং ডায়েটের গোলমালের কারণে ক্লান্তি আসে। কীভাবে জীবনে এনার্জি আনতে পারবেন পুরুষরা? বিশেষজ্ঞরা এর জন্য দিয়েছেন বিশেষ কিছু টিপস-
সুষম আহার: প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর কার্ব, জরুরি ক্যালরি এবং ভিটামিনের অভাব শরীরে ক্লান্তি আনে। এনার্জি কমিয়ে দেয়। সবজি, প্রোটিনে ভরপুর খাবার খেলে শরীরে এনার্জি বাড়ে।
এক্সারসাইজ: অনেকেই বুঝতে পারেন, এক্সারসাইজ না করার ফলে এনার্জি কমে যাচ্ছে। এতে কোনও সন্দেহই নেই, নিয়মিত কসরত করলে শরীরে এনার্জির কোনও অভাব থাকে না। সময় এবং বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অত্যধিক পরিমাণ এক্সারসাইজ আবার ক্লান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সে কারণে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে এক্সারসাইজ করা উচিত।
টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যাওয়া: টেস্টোস্টেরন একটি সেক্স হরমোন। এটি মানসিক এবং শারীরিক এনার্জি স্তর বজায় রাখার জন্য অত্যধিক জরুরি ভূমিকা পালন করে। পুরুষদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের শরীরে স্বাভাবিক রূপে টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যায়। কম টেস্টেস্টেরন অর্থাৎ চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলে হাইপোগনাডিজম। যার কারণে এনার্জি কমে যাওয়া, অবসাদ গ্রাস করা এবং ক্লান্তির সমস্যা দেখা যায়।
কীভাবে নিজেদের চনমনে রাখবেন পুরুষরা?
শরীর চাঙ্গা এবং ফুরফুরে রাখতে প্রথমত প্রচুর পরিমাণ জল খাওয়া উচিত। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সবুজ শাকসবজি, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, ফল, ডিম, চিকেন ডায়েটে রাখতে হবে প্রত্যেক মাঝবয়সী পুরুষকে। তবেই দূর হবে ক্লান্তি, ফিরবে এনার্জি।