
অনেকেই সকালের জলখাবারে রুটি খান। কেউ বাদামি রুটি, কেউ সাদা রুটি-পছন্দ আলাদা হলেও বেশিরভাগ মানুষই জানেন না তাঁদের প্রতিদিনের রুটি আসলে কতটা স্বাস্থ্যকর। অনেক সময় অজান্তেই নিম্নমানের রুটি খেয়ে আমরা নিজেদের শরীরের ক্ষতি করি। তাই রুটি কেনার আগে কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললেই আপনি বুঝে যেতে পারবেন, রুটি সত্যিই স্বাস্থ্যকর কি না।
প্যাকেটের লেবেল পড়া অভ্যাস করুন
যে কোনও প্যাকেটজাত খাবারের মতো রুটির ক্ষেত্রেও লেবেলে অসংখ্য তথ্য থাকে। এই লেবেল পড়লে আপনি সহজেই বুঝে যেতে পারবেন রুটিতে কী আছে, আর তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কেমন।
১. চিনি যোগ করা আছে কি না
রুটি বানাতে খামির সক্রিয় করতে সামান্য চিনি লাগে। তবে কারখানায় তৈরি অনেক রুটিতে অতিরিক্ত মিষ্টি যেমন চিনির সিরাপ, মধু বা অন্যান্য মিষ্টি মেশানো থাকে, যাতে রুটি নরম ও সজীব থাকে। এই অতিরিক্ত চিনি আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই লেবেলে দেওয়া Added Sugar অংশটি অবশ্যই দেখে নিন।
২. লবণের পরিমাণ পরীক্ষা করুন
রুটিতে খামির করার জন্য কিছু লবণ লাগে ঠিকই, কিন্তু অনেক ব্র্যান্ড স্বাদ বাড়াতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি লবণ যোগ করে। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, রুটির এক টুকরোয় সোডিয়াম ১০০-২০০ মিলিগ্রামের বেশি থাকা উচিত নয়। তাই রুটি কেনার আগে লেবেলের Sodium অংশটি দেখে নিন।
৩. উপকরণগুলি (Ingredients) যাচাই করুন
অনেকে ভাবেন বাদামি রুটি বা মাল্টিগ্রেইন রুটি মানেই স্বাস্থ্যকর। কিন্তু বাস্তবে বহু ব্র্যান্ড এসব রুটিতে ম্যায়দা মিশিয়ে দেয় যাতে রুটি নরম ও সুস্বাদু হয় এবং খরচও কম পড়ে। তাই Ingredients তালিকায় আসল গমের আটা (Whole Wheat Flour) কতটা আছে সেটা দেখুন।
৪. Best Before তারিখ অবশ্যই পরীক্ষা করুন
রুটি খুব দ্রুত নষ্ট হয়। তাই লেবেলের ‘বেস্ট বিফোর’ বা ‘ব্যবহারের শেষ তারিখ’ দেখে নিন। এই সময়ের পরে রুটি খাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
৫. প্রিজারভেটিভ আছে কিনা দেখুন
অনেক রুটিতে স্বাদ, গন্ধ, রঙ ও সতেজতা বজায় রাখতে নানা প্রিজারভেটিভ বা অ্যাডিটিভ ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এগুলো শরীরে গেলে ক্ষতি হতে পারে। সুতরাং যতটা সম্ভব Preservative-free রুটি বেছে নিন।
৬. ফাইবারের পরিমাণ দেখুন
রুটি স্বাস্থ্যকর হওয়ার প্রধান শর্ত হলো এতে যথেষ্ট ফাইবার থাকা। প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় অনেক রুটি ফাইবার হারায়। তাই লেবেলে উল্লেখিত Dietary Fiber দেখুন-যত বেশি, তত ভালো।