গরমে বাড়িতে দই খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর সেবন পাচনতন্ত্রের জন্যও উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, বদহজম বা ডায়ারিয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে দইয়ের সঙ্গে ভাত খেলে উপশম পাওয়া যায়। আসলে, দই প্রোবায়োটিকের একটি বড় উৎস। দই ভাত খেলে পাকস্থলীতে জীবাণুর ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং খাবার ঠিকমতো হজম হবে।
যে কোনও ধরনের পেটের সমস্যার জন্য দই ভাত খাওয়া একটি দুর্দান্ত বিকল্প। এতে উপস্থিত প্রোবায়োটিকগুলি স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির প্রচার করে, যাতে পেটের গুরুতর সমস্যা যেমন অ্যাসিডিটি, পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং ডায়ারিয়া থেকে দূরে থাকতে পারেন।
দই ভাত খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে
দই ভাতের একটি শীতল প্রভাব রয়েছে যা শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এর সেবন শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। হঠাৎ খুব গরম অনুভূত হলে সঙ্গে সঙ্গে দই ভাত খাওয়া উচিত।
স্ট্রেস বুস্টার হিসেবে কাজ করবে
দই ভাতে প্রোবায়োটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভালো চর্বি থাকে। এটি খেলে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়াও, অনেক চাপ থেকেও মুক্তি দিতে পারে।
ওজন কমাতেও সহায়ক
দই ভাত খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকবে। এই কারণে, ঘন ঘন খাওয়ার ইচ্ছা থাকবে না এবং স্ন্যাকিং করা এড়াবেন, যা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দই ভাত শরীরে শক্তি জোগাবে
দই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ যা শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়। অসুস্থ হলে এটি শরীরে প্রচুর শক্তি দেয়। এছাড়াও এতে রয়েছে ভালো ব্যাকটেরিয়া যা শরীরকে সুস্থ রাখে।
দই ভাতের দক্ষিণী রেসিপি থাকলেও পেটের জন্য সামান্য বিট নুন দিয়ে দই-ভাত খেলেই সবচেয়ে উপকারী।