অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? বেড়ে চলেছে ওজন? অকালে ঝরছে চুল? হারাচ্ছে ত্বকের জেল্লা? এই সব প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হলে এড়িয়ে যাবেন না। এই ধরনের উপসর্গ জানান দিচ্ছে আপনার থাইরয়েডের সমস্যা মাথাচাড়া দিয়েছে। সময় থাকতে থাইরয়েডের চিকিৎসা না করলে, তা বড় আকার ধারণ করতে পারে। থাইরয়েডের চিকিৎসা অনেক দিন ধরে চলে। তবে খাওয়াদাওয়ায় খানিকটা বদল আনলে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
থাইরয়েড শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি। গলা এবং ঘাড়ের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত এই গ্রন্থিটি বিভিন্ন ধরনের হরমোন নিঃসরণ করে। যা দেহের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়। শরীরের বিপাক হার ঠির রাখে। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা দেখা দিলে গলগণ্ড থেকে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। যে কোনও বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই থাইরয়েড গ্রন্থির যত্ন অত্যন্ত দরকারি। থাইরয়েড সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েটে শামিল করুন ৫ পানীয়।
ধনেপাতার জল- থাইরয়েড রোগীরা ধনেপাতার খেলে উপকার পান। প্রতিদিন ধনেপাতা খেলে থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর জন্য আপনি এক গ্লাস জল, কারিপাতার সঙ্গে ধনে দিয়ে গরম করুন। এই জল ছেঁকে পান করুন। এতে ওজন এবং থাইরয়েড- দুটোই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
লেবু ও মধুর জল- লেমনেড এক ধরনের ডিটক্স ওয়াটার। যা প্রতিদিন খেলে চর্বি গলাতে সাহায্য করে। থাইরয়েড রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। এর জন্য আপনি এক গ্লাস হালকা গরম জল নিন। এতে কয়েক ফোঁটা লেবু এবং মধু যোগ করুন। এভাবে পান করলে কমবে ওজন।
সবজির রস- আপনার যদি হাইপোথাইরয়েডিজম থাকে তাহলে পাতে সবজির রস অন্তর্ভুক্ত করুন। লাউ, করলা এবং চালকুমড়োর রস পান করলে উপকার পাবেন।
আদার জল- থাইরয়েডের রোগী হয়ে থাকলে আদার জল পান করলে উপকার পাওয়া যায়। আদার জল মানুষের হজম ক্ষমতার উন্নতির পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আদার জল খেলে মেটাবলিজমও ভালো থাকে। যা থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখে। এক গ্লাস জলে একটি ছোট টুকরো আদা রাখুন। সেটি ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ফিল্টার করার পরে পান করুন।
গুলঞ্চের রস- থাইরয়েড রোগীদের জন্য গুলঞ্চের রস খাওয়া উপকারী হতে পারে। এ জন্য গুলঞ্চকে জলে ফুটিয়ে নিন। তার পর তা ছেঁকে পান করুন। এই পানীয় খেয়ে থাইরয়েডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
আরও পড়ুন- সকালে উঠেই খেয়ে ফেলুন এই ৩ পাতা, হু হু করে কমবে ডায়াবেটিস