খাওয়াদাওয়ার অনিয়মে এখন কয়েকটি অসুখ বাসা বাঁধছে শরীরে। এর মধ্যে অন্যতম ওজনবৃদ্ধি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা, খাদ্যাভ্যাসের সমস্যা ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা। জীবনযাত্রার কারণে বেশিরভাগ মানুষ থাইরয়েড সমস্যা হচ্ছে। গবেষণা বলছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের থাইরয়েডের সমস্যা বেশি হয়। থাইরয়েড একটি হরমোন নিয়ন্ত্রক গ্রন্থি। এতে ভারসাম্যহীনতার কারণে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বা কম পরিমাণে হরমোন তৈরি হয়। এটি এমন অসুখ যা নিরাময় করা যায় না কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
থাইরয়েডের লক্ষণ- থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ওজন দ্রুত বাড়ে বা কমতে থাকে। এর সঙ্গে দ্রুত চুল পড়া, দুর্বলতা, নিদ্রাহীনতা, অতিরিক্ত রাগ, ত্বকের সমস্যা, অবসাদের মতো সমস্যা দেখা দেয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, TSH-এর স্বাভাবিক মাত্রা ০.৪-৪.০ mIU/L এর মধ্যে। এর মাত্রা ২.0-এর বেশি হয় হলে হাইপোথাইরয়েডিজম বলা হয়। হ্রাস পেলে হাইপারথাইরয়েডিজম বলা হয়।
সাধারণত থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিন খালি পেটে ওষুধ খেতে হয়। তবে এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করতে পারেন। সেজন্য প্রতিদিন খেতে পারেন সবুজ ধনে পাতা। এবার জেনে নিন কীভাবে খাবেন ধনেপাতা।
ধনে পাতার পুষ্টিগুণ
ধনে পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এর পাশাপাশি ডায়েটারি ফাইবার, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম। এর পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার পাশাপাশি ত্বক, মস্তিষ্ক, হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ধনে পাতা। রক্তে শর্করা, খারাপ কোলেস্টেরল, দুর্বলতা ও থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখে।
থাইরয়েড রোগীরা কীভাবে সবুজ ধনেপাতা খাবেন
থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে তাজা ধনে পাতা নিন। পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর পর পিষে পেস্ট তৈরি করুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চায়ের মতো হালকা গরম জলে এক চা চামচ সবুজ ধনেপাতা পেস্ট করে পান করুন। এক সপ্তাহের জন্য নিয়মিত পান করার পরে এক মাসের জন্য ছেড়ে দিন। আবার এক মাস পরে টানা এক সপ্তাহ খান ধনে পাতার রস। আপনার থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে থাকবে।