Tomato Benefits : খাবারে টমেটোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সবজি হিসাবে, স্যালাডে, স্যুপ হিসাবে, চাটনি হিসাবে এমনকি সৌন্দর্য পণ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। টমেটোতে ভিটামিন সি, লাইকোপিন, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোলেস্টেরল কমানোর উপাদান। যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁদের জন্যও এটি খুবই উপকারী, তবে টমেটোর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল টমেটো রান্না করার পরেও এর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।
টমেটো রোগ প্রতিরোধের জন্য ব্যবহৃত হয়
সকালে জল না খেয়ে পাকা টমেটো খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। শিশুর শুষ্ক রোগ হলে তাঁকে প্রতিদিন এক গ্লাস টমেটোর রস খাওয়ালে রোগে উপশম হয়। টমেটো শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য খুবই উপকারী। স্থূলতা কমাতেও টমেটো ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিদিন এক থেকে দুই গ্লাস টমেটোর রস পান করলে ওজন কমে। বাতের রোগেও টমেটো খুবই উপকারী। প্রতিদিন টমেটোর রসে ক্যারাম বীজ মিশিয়ে খেলে বাতের ব্যথায় উপশম পাওয়া যায়।
গর্ভাবস্থায় টমেটো খাওয়া খুবই উপকারী। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ভাল। পেটে কৃমি হলে সকালে খালি পেটে টমেটোর সঙ্গে কালো গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। নুন মিশিয়ে কাঁচা টমেটো খেলে মুখে লালভাব দেখা দেয়। মুখে টমেটোর পাল্প ঘষে ত্বকের উন্নতি ঘটায়। নিয়মিত টমেটো খাওয়া ডায়াবেটিসে উপকারী। এতে চোখের আলো বাড়ে। এর পাশাপাশি এটি ত্বকের নানা ধরনের সমস্যায়ও কার্যকর।
শরীরকে সুস্থ রাখে
এতে রয়েছে ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম যা হাড়কে মজবুত রাখে। প্রতিদিন টমেটোর স্যুপ পান করলে এটি রক্তে TNF আলফার মাত্রা ৩৪ শতাংশ কমিয়ে দেয়। শরীরে লাইকোপিনের অভাব হাড়ের উপর চাপ বাড়ায়। টমেটোতে লাইকোপিন থাকে এবং এটি নিয়মিত খেলে আপনি রোগ থেকে দূরে থাকেন। এছাড়াও মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে। টমেটোর স্যুপে প্রচুর পরিমাণে কপার পাওয়া যায়, যার কারণে স্নায়ুতন্ত্র ঠিক থাকে। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম। এসবই মনকে শক্তিশালী রাখে। তবে কোনও কিছু অতিরিক্ত খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ কর নেওয়া উচিত।