আজ নবমী। আজ আর কাল হলেই পুজো শেষ। তাই অনেকেই এই দু'টি দিন একটু আনন্দে কাটানোর চেষ্টা করবেন। ভুলে থাকতে চাইবেন রোজকার জীবনের ব্যস্ততা। যার ফলে তাঁরা হাতে তুলে নেবেন সুরাপাত্র। তারপর সকালে উঠে হ্যাংওভারের শিকার হবেন। ধরবে মাথা। গা ম্যাজ ম্যাজ করবে। কোনও কাজেই বসবে না মন।
তবে এই সব সমস্যা নিয়ে বেশি চাপ নেবেন না। বরং কিছু সহজ টোটকার মাধ্যমেই হ্যাংওভার থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে নিন। আসুন সেই সব টোটকা সম্পর্কে বিশদে জেনে নেওয়া যাক।
জল খান বেশি করে
মদ খেলে শরীর থেকে অনেকটা পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়। আর সেটাই অনেক সময় হ্যাংওভারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া মদের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে অতি ক্ষতিকর কিছু রাসায়নিক। এগুলি দেহে উপস্থিত থাকার কারণেও অস্বস্তি হয়। তাই এই দুই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে চাইলে জল পান বাড়াতে হবে। তাতে যেমন দেহে জলের ঘাটতি মিটবে, তেমনই মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে ক্ষতিকর সব উপাদান। যার ফলে আপনি সুস্থ থাকবেন।
কার্বোহাউড্রেট খাওয়া মাস্ট
মদ্যপান করলে সুগার লেভেল অনেকটা কমে যেতে পারে। যার ফলে পিছু নিতে পারে মাথা ব্যথা ও ক্লান্তি। এমনকী ব্রেনের কাজ করতে সমস্যা হতে পারে।
তাই হ্যাংওভার হলে একটু কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। তাতে সুগার লেভেল বেড়ে যায়। যার ফলে কমে হ্যাংওভারজনিত সমস্যা।
এক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট হিসাবে ভাত, রুটি এবং আলু খেতে পারেন। তাতে দ্রুত উপকার মিলবে।
চা-কফি চলতে পারে
এই ধরনের পানীয়ে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। সেই সঙ্গে রয়েছে ক্যাফিন ও ট্যানিন। তাই এগুলি খেলে অ্যান্টিহ্যাংওভার এফেক্ট মিলবে। আপনার মাথা ব্যথা কমবে। সেই সঙ্গে শরীর হবে চাঙ্গা।
লেবু জল খেতে পারেন
অত্যন্ত উপকারী পানীয় হল লেবু জল। এটি খেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রবেশ করবে শরীরে। পাশাপাশি ভিটামিন সি-ও পাবেন ভরপুর। যেই কারণে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।
তবে এ সবের পরও সমস্যা না কমলে একটা প্যারাসিটামল খেয়ে নিন। বমি পেলে খেতে পারেন ডমপেরিডন। তবে তাতেও সমস্যা না কমলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।