Weight Loss: আয়ুর্বেদে তুলসীকে একটি ঔষধি গাছ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু, বহু মানুষ তুলসীর উপকারিতা সম্পর্কে অবগত নন। এর পাতা শুধু কাশি ও সর্দি কমায় না, ওজনও অনেকাংশে কমানো যায় তুলসী দিয়ে। এটি খাওয়ার একটি নয় বরং অনেকগুলি উপায় রয়েছে, যা মেনে চললে, কয়েক দিনের মধ্যে আপনার স্বাস্থ্যকে ফিট এবং সুস্থ করে তুলতে পারেন। সবচেয়ে জেদি পেটের চর্বিও বেশিক্ষণ তুলসীর সামনে দাঁড়াতে পারবে না। তুলসীর জল হোক বা গোল মরিচের সঙ্গে তুলসি, এটি ওজন কমাতে পারে নানাভাবে।
ওজন কমানোর জন্য তুলসী ( Tulsi Leaves For Weight Loss)
তুলসীর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য এটিকে ব্যথা এবং আঘাতের জন্য একটি ভাল ওষুধ করে তোলে। ডায়েট সম্পর্কে কথা বললে, এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলি শরীরকে ফ্রি ব়্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও তুলসী কার্যকর। এর সেবন শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, বিপাক বাড়ায় এবং হজমে সাহায্য করে।
তুলসী জল
সকালে ইষদুষ্ণ গরম জলে ৫ থেকে ৬টি তুলসী পাতা ভিজিয়ে খেলে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এটি বিপাক ক্রিয়া দ্রুত করতেও সহায়ক। দ্রুত মেটাবলিজমের কারণে শরীরের ক্যালরিও দ্রুত কমতে শুরু করে। আপনি এই জলে লেবুর টুকরোও যোগ করতে পারেন।
গোল মরিচ এবং তুলসী
গোল মরিচের সঙ্গে তুলসী পাতা খেলে শরীরে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন এ সহ প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম পাওয়া যায়। ওজন কমাতে এই দুটি একসঙ্গে মিশিয়ে চা তৈরি করতে পারেন। গোল মরিচ এবং তুলসী চা তৈরি করতে, ৫ থেকে ৬টি গোল গোলমরিচের সঙ্গে ৬টি তুলসী পাতা, গুড় এবং জোয়ানের বীজ মিশিয়ে চা তৈরি করুন, এটি ওজন কমানোর পাশাপাশি গলা ব্যথা থেকেও মুক্তি দেবে।
তুলসী এবং মধু
পেটের চর্বি কমাতে মধুর সঙ্গেও তুলসী পাতা খেতে পারেন। এর জন্য এক কাপ জলে তুলসী ২ থেকে ৩ মিনিট ফুটিয়ে এই জল ছেকে কাপে রাখুন। এবার আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এই চায়ে চুমুক দিয়ে আপনার ওজন কমাতে পারেন।
Disclaimer: পরামর্শ সহ এই লেখা শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এটা কোনোভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। আজতক বাংলা এই তথ্যের দায় স্বীকার করে না।