সনাতন ধর্মে তুলসী গাছের বিরাট মাহাত্ম্য রয়েছে। ঘরের দালানে তুলসীর গাছ লাগানো খুবই শুভ। শহরাঞ্চলে তুলসী চারা রাখার রেওয়াজ আর নেই। তবে গ্রামে গ্রামে এখনও বাড়ির বাইরে থাকে তুলসী গাছ। তুলসী পাতার বিবিধ ঔষধি গুণ রয়েছে। নিয়ম করে তুলসী পুজো করলে খুশি হন মা লক্ষ্মী। বাড়িতে থাকে সুখ ও শান্তি। ইতিবাচক শক্তির প্রবেশ ঘটে। তবে তুলসী বিপদের ইঙ্গিতও দেয়। যা আগে থেকে জানলে প্রতিকার করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
হঠাৎ তুলসী শুকিয়ে যাওয়া- ঘরে সতেজ তুলসী ধীরে ধীরে শুকিয়ে গেলে অশুভ ইঙ্গিত। বড় কোনও অমঙ্গলজনক ঘটনা ঘটতে পারে। তুলসীর পরিচর্যা শুরু করুন। তুলসী শুকিয়ে গেলে অবিলম্বে নতুন চারা বসান। ভুলেও রবিবার তুলসী গাছে জল দেবেন না।
পিতৃ দোষ- তুলসী বারবার শুকিয়ে গেলে বুঝতে হবে ঘরে পিতৃদোষ আছে। সেজন্য গয়ায় গিয়ে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে পিণ্ডদান করুন।
তুলসী গাছের যত্ন নেবেন কীভাবে?
কোন দিকে রাখবেন- কখনও পূর্ব দিকে তুলসী গাছ রাখবেন না। তুলসী গাছ সবসময় উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে রাখুন।
মাটি- তুলসী গাছ শুকিয়ে গেলে মানুষের জীবনে দুর্ভাগ্য নিয়ে আসতে পারে। তুলসীর জন্য লাল ও বেলে মাটি খুব কাজের। ৩০ শতাংশ বালি ও ৭০ শতাংশ মাটি রাখুন। অতিরিক্ত জল দেবেন না। তুলসীর গোড়ায় ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারে।
সার- তুলসী গাছে গোবর সার ব্যবহার করুন। গোবর শুকিয়ে গুঁড়ো করে চারপাশে দিন। তুলসী প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
টব- তুলসী যে টবে রাখবেন তার তলায় যেন জল বেরানোর ফুটো থাকে। এতে তুলসী সতেজ থাকবে। একটু চওড়া ও গভীর টবে তুলসী চারা রোপণ করা উচিত।
পোকামাকড় দূরে রাখতে- তুলসী গাছে পোকা হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিম গাছের পাতা বেটে স্প্রে করতে পারেন। অথবা নুন ব্যবহার করলেও প্রতিকার মিলবে।
জল- নিয়মিত তুলসী গাছে জল দিন। তবে রবিবার ও একাদশীতে জল দেবেন না। তাহলে অমঙ্গল হবে।
ছাঁটাই- নির্দিষ্ট সময় অন্তর তুলসী গাছে ছাঁটাই জরুরি। তুলসীর মঞ্জরি আসতে শুরু করলে ছাঁটাই করুন। পাতাও নির্দিষ্ট সময় অন্তর ছেঁটে দিন।
পাতা ছেড়া- তুলসী পাতা যে কোনও দিন ছিড়বেন না। একাদশী ও অমাবস্যায় তুলসী পাতায় হাত দেওয়া অনুচিত।