Unhealthy Foods for Children: শিশুদের এক বছর বয়স থেকে দরকার সুষম আহার। ঠিকঠাক খাবার না থাকলে শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে। সুষম আহার না দেওয়া হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। সামান্য আবহাওয়া বদলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশু। মস্তিষ্ক ও শরীরের বিকাশের জন্য শিশুদের খাবারের উপর নজর রাখা দরকার।
জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান দিয়ে খাবার সুস্বাদু করতে হবে। সবজি দিয়ে পরোটা, পনির রোল, নানা ফল সুস্বাদ আবার স্বাস্থ্যকরও। শিশুদের খাবারের পছন্দগুলি শুরুতেই তৈরি হয়ে যায়। তাই মা-বাবার উচিত স্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত করে তোলা। জাঙ্ক এবং ভাজা খাবার বড়দের জন্য তো বটেই শিশুদেরও খাওয়া উচিত নয়। শিশুদের জাঙ্ক খাবার দেবেন না। কম বয়সেই ওজন বেড়ে যেতে পারে তাদের।
কাঁচা দুধ এবং নরম পনীর
পাস্তুরিত করা নেই এমন খাবার বা পানীয়তে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা মারাত্মক ডায়রিয়া এবং গুরুতর সংক্রামক রোগের কারণ হতে পারে। এতে আপনার শিশুর অন্ত্রের স্বাস্থ্যও দুর্বল হয়ে ওঠে। যার ফলে আপনার সন্তানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
চিপস এবং প্যাকেটজাত খাবার
অতিরিক্ত লবণ নুন কিডনির জন্য ভাল নয়। প্যাকেটজাত, প্রক্রিয়াজাত এবং হিমায়িত খাবার, চিপস, নরম পানীয় ইত্যাদি শিশুকে নিয়মিত দেবেন না।
বিস্কুট, কেক ও চকোলেট
বিস্কুট, কেক ও চকোলেটে থাকে প্রচুর শর্করা। এসব খেলে শিশু মোটা হয়ে ওঠে। ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। চিনি যুক্ত খাবার এবং পানীয় দাঁতের ক্ষয় করে। প্যাকেটজাত জুস, মাফিন, বিস্কুট, কেক, চকলেট, কোল্ড ড্রিংকস, স্পোর্টস ড্রিংকস, অত্যন্ত মিষ্টি স্বাদযুক্ত দুধ, টিনজাত জুস শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয়।
ক্যাফাইন
অত্যধিক ক্যাফাইন হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করে, উদ্বেগ বাড়ায় এবং ঘুমের অভাবের কারণ হতে পারে। শিশুদের জন্য তা বিষাক্ত প্রমাণিত হতে পারে। এছাড়াও ক্যালসিয়ামের বিকাশে বাধা দেয়। পরে হাড় শক্তপোক্ত হয় না।
প্যাকেটজাত এবং ভাজা খাবার
স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট শিশুর জন্য অস্বাস্থ্যকর। তা পাওয়া যায় বেশিরভাগ বেকারি পণ্য, জাঙ্ক প্যাকেটজাত খাবার এবং ভাজা খাবারে। এগুলি স্থূলতা বাড়ায়। এমনকি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলও বাড়িয়ে দিতে পারে। আমন্ড, বাদাম, অ্যাভোকাডোয় থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। সামান্য় পরিমাণে শিশুদের খাওয়াতে পারেন।
কাঁচা সবজি
ব্রকলি, ক্যাপসিকাম, মটর, ফুলকপি, মটরশুটি ও ঢেঁড়সে থাকে উচ্চ মাত্রার নাইট্রেট। ছোট বাচ্চাদের জন্য যা বিপদজনক। এগুলি ভাল করে ধুয়ে নিন। রান্না করে সন্তানকে দিন।
আঙুর, কিশমিশ, বাদাম
অঙুর, কিসমিস, আমন্ড, বাদাম, শক্ত মটর জাতীয় খাবার শিশুর শ্বাসনালীতে আটকে যেতে পারে। ৫ বছর বয়স পর্যন্ত আপনার শিশুকে এই সব খাবার গোটা খেতে দেবেন না। এগুলি গুঁড়ো করে পাওডার আকারে খাওয়াতে পারেন।
অ্যালার্জির কারণ
কিছু সাধারণ খাবার যা খেলে অ্যালার্জি হতে পারে, সেগুলি হল- দুধ, চিংড়ি, ডিম, চিনাবাদাম, বাদাম, সয়াবিন, মাছ ও বাদাম। খাবার খাওয়ার পর যদি আপনি আমবাত বা ফুসকুড়ির মতো কোনও উপসর্গ লক্ষ্য করেন, তাহলে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন- রাতে ঘুমোনোর আগে খান এই ৪ খাবার, কমবে পেটের ভুঁড়ি