গাঁটে গাঁটে ব্যথা ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার অন্যতম উপসর্গ। মাংস, মাছ ও ডিম যাঁরা বেশি খান তাঁদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বেশি হয়। বর্তমান ব্যস্ত জীবনযাত্রায় অনেকেই ইউরিক অ্যাসিডে ভুগছেন। তা বাড়তে থাকলে একটা সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তাই সাবধান থাকা দরকার।
হাঁটুতে ব্যথা, অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে যন্ত্রণা ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার অন্যতম লক্ষণ। পিউরিন জাতীয় খাবার থেকে তৈরি হয় এই অ্যাসিড। তা রক্তে মিশে কিডনিতে পৌঁছয়। কিডনি এই দূষিত পদার্থ ছেঁকে মূত্রের মাধ্যমে বাইরে বার করে দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড নির্গত হলে শরীর বাইরে বের করতে পারে না। ফলে রক্তে বাড়ে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। ওষুধের সঙ্গে আয়ুর্বেদিক উপায়েও কমাতে পারে ইউরিক অ্যাসিড। সেজন্য হাতের কাছেই রয়েছে তিন পাতা।
তেজপাতা- বাঙালির যে কোনও রান্নায় তেজ পাতা মাস্ট। রান্নার স্বাদ ও গন্ধ অতুলনীয় করে তোলে তেজ পাতা। ডালের ফোড়ন থেকে পায়েস- সব রান্নায় তেজ পাতা স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। তবে খাবারের স্বাদ ও গন্ধের জন্যই নয় ইউরিক অ্যাসিজ কমাতেও তেজ পাতার জুড়ি মেলা ভার! তেজ পাতা ফোটানো জল খেলে কমে ইউরিক অ্যাসিড।
ধনেপাতা- ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে দেয় ধনেপাতা। এতে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ। তেজ পাতায় রয়েছে ফাইবার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন সি। এই পাতা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে মোক্ষম দাওয়াই। ধনে পাতা সকালে খালি পেটে ফুটিয়ে খেতে পারেন। আবার ভেজানো জলও খাওয়া যায়। ধনেপাতা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
পানপাতা- খাওয়ার পর মুখশুদ্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয় পান পাতা। তবে জানলে অবাক হবেন, পান পাতা ইউরিক অ্যাসিড কমাতেও কার্যকর। হজমশক্তিও বাড়ায়। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে কাজ করে পান পাতা।
আরও পড়ুন- দুধে এই পাতা মিশিয়ে ফুটিয়ে খান, কিডনি স্টোন-হাঁপানি, মাইগ্রেন থেকেও মুক্তি